শিরোনাম
ঢাকা, ৩ মে, ২০২৫ (বাসস) : হোয়াইট হাউস শুক্রবার জানিয়েছে, মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠার ২৫০তম বার্ষিকী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৭৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আগামী ১৪ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি সামরিক কুচকাওয়াজ আয়োজন করবে বলে জানা গেছে।
ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আনা কেলি এক্স-এ এক বার্তায় লিখেছেন, ট্রাম্প ‘সামরিক কুচকাওয়াজের মাধ্যমে আমেরিকার প্রবীণ, কর্তব্যরত সক্রিয় সেনা সদস্য এবং সামরিক ইতিহাসের প্রতি সম্মান জানাবেন’।
মার্কিন সেনাবাহিনীর মুখপাত্র হিদার হ্যাগান বলেন, কুচকাওয়াজ ছাড়াও, মার্কিন সেনাবাহিনীর জন্মদিন উদযাপনে আতশবাজি এবং ন্যাশনাল মলে একটি উৎসবের আয়োজন করা হবে।
হ্যাগান বলেন, মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠার ২৫০ বছরের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলককে সামনে রেখে, সেনাবাহিনী উদযাপনকে আরো বড় করার জন্য আরো সক্ষমতা প্রদর্শন, অতিরিক্ত সরঞ্জাম প্রদর্শন এবং আরো সম্পৃক্ততাসহ বিকল্পগুলো অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, কুচকাওয়াজ পরিকল্পনা সক্রিয়ভাবে চলছে। আমরা প্রায় ১৫০টি যানবাহন, ৫০টি বিমান এবং ৬ হাজার ৬শ’ সৈন্যের প্রত্যাশা করছি।
ফ্রান্সে বাস্তিল দিবসের কুচকাওয়াজে যোগ দেওয়ার পর ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ওয়াশিংটনে সামরিক কুচকাওয়াজের ধারণাটি তুলে ধরেন।
পেন্টাগন তখন বলেছিল, এটি কখনও বাস্তবায়িত হয়নি, এর খরচ ৯২ মিলিয়ন ডলার হতে পারে, ট্যাঙ্ক এবং অন্যান্য ভারী সামরিক যানবাহন শহরের রাস্তাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল।
গত মাসে সাংবাদিকরা কুচকাওয়াজের পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করায় ওয়াশিংটনের মেয়র মুরিয়েল বাউসার কই রকম উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেছিলেন।
বাউসার বলেন, ‘আমাদের রাস্তায় সামরিক ট্যাঙ্ক থাকা ভালো হবে না’। ‘যদি সামরিক ট্যাঙ্ক ব্যবহার করা হয় তবে রাস্তা মেরামতের জন্য তাদের সাথে লাখ লাখ ডলার থাকা উচিত।’
ওয়াশিংটনে সর্বশেষ বড় মার্কিন সামরিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের সমাপ্তি উদযাপনের জন্য।
ট্রাম্প ৮ মে-কে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয় দিবস এবং ১১ নভেম্বর পালিত ভেটেরান্স ডে-কে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বিজয় দিবসে পরিবর্তন করার ঘোষণা দেওয়ার একদিন পরই নতুন কুচকাওয়াজ ঘোষণা করা হলো।
ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্টে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট দুটি বৈশ্বিক সংঘাতে ইউরোপীয় দেশগুলোর ভূমিকাকে খাটো করে দেখেছেন। যাদের অনেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক বেশি হতাহত এবং ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হয়েছে।
ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমরা উভয় যুদ্ধেই জয়লাভ করেছি, শক্তি, সাহসিকতা বা সামরিক প্রতিভার দিক থেকে কেউ আমাদের কাছাকাছি ছিল না, তবে আমরা কখনও কিছুই উদযাপন করি না। কারণ, আমাদের আর এমন নেতা নেই যারা তা করতে জানে! আমরা আবার আমাদের বিজয় উদযাপন শুরু করতে যাচ্ছি।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর সাথে ট্রাম্পের একটি পরস্পরবিরোধী সম্পর্ক রয়েছে। তিনি তাদের শক্তির প্রশংসা করেছেন কিন্তু দাবি করেছেন যে তারা ক্ষয়প্রাপ্ত এবং পুনর্গঠনের প্রয়োজন।