শিরোনাম
ঢাকা, ৩ মে, ২০২৫ (বাসস) : বলিভিয়ার বিচারমন্ত্রী শুক্রবার বলেছেন, পাচারের অভিযোগে বলিভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল রয়েছে। এই সপ্তাহে একজন বিচারক পরোয়ানা বাতিল করার ঘোষণা দেওয়ার পর দেশটির বিচারমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
বলিভিয়ার লাপাজ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
বলিভিয়ার প্রথম আদিবাসী প্রেসিডেন্ট আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধা দেওয়া সত্ত্বেও আনুষ্ঠানিকভাবে চতুর্থ মেয়াদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু করার পরিকল্পনা করছেন, ঠিক তখন গ্রেপ্তার নিয়ে ক্রমবর্ধমান সমস্যা দেখা দিয়েছে।
বিচারমন্ত্রী সিজার সাইলস রাষ্ট্র পরিচালিত বলিভিয়া টিভি চ্যানেলকে বলেছেন, গত অক্টোবরে জারি করা পরোয়ানা বৈধতা রয়েছে।
সাইলস বলেন, মামলার সকল দিক, যার মধ্যে ‘কার্যক্রম, অভিযোগ, এখতিয়ার’ অন্তর্ভুক্ত, অপরিবর্তিত এবং যথাস্থানে রয়েছে।
২০১৫ সালে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীর সাথে সম্পর্কের অভিযোগে প্রসিকিউটররা যখন তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন, তখন থেকেই মোরালেস একজন ওয়ান্টেড ব্যক্তি ছিলেন।
প্রসিকিউটররা বলছেন, এক বছর পর মেয়েটির সাথে মোরালেস এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন এবং মোরালেসের অনুগ্রহের বিনিময়ে তার বাবা-মা এই সম্পর্কে সম্মতি দেন।
সাইলস বলেন, বিচারকের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিলের সিদ্ধান্ত ‘অযৌক্তিক‘ এবং অমীমাংসিত বিষয়গুলোর কারণে এটি স্থগিত করা হচ্ছিল।
স্থানীয় গণমাধ্যম সাইলসের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ‘সৌভাগ্যবশত আইনের শাসন পুনরুদ্ধার করা হয়েছে’।
৬৫ বছর বয়সী এই সাবেক কোকা চাষী তার বিরুদ্বে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি ২০০৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
তিনি তার সাবেক মিত্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রেসিডেন্ট লুইস আর্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে তিনি ক্ষমতায় ফিরে আসার চেষ্টায় বাধা দেওয়ার জন্য আদালতের মাধ্যমে তাকে তাড়া করছেন।