বাসস
  ০২ মে ২০২৫, ১৩:১৫

দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা লড়বেন

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা, ২ মে, ২০২৫ (বাসস): দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু শুক্রবার প্রেসিডেন্ট পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা ঘোষণা দিয়েছেন। সাবেক প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের ফলে আগাম নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে জানা গেছে। 

সিউল থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

অভিশংসিত সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের স্থলাভিষিক্ত কে হবেন সে লক্ষ্যে আগামী ৩ জুনের ভোটে সিদ্ধান্ত হবে। ইউন সুক ইওল গত ডিসেম্বরে সামরিক আইন জারি করে পদ থেকে অপসারিত হন। যার ফলে দক্ষিণ কোরিয়াকে দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ফেলে দেয়।

বৃহস্পতিবার নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রেসিডেন্ট পদ প্রার্থীর একজন শীর্ষস্থানীয় প্রার্থীর পুনর্বিচারের আদেশ দেওয়ার পর এবং হান সহ দুই গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ব্যক্তি পদত্যাগ করাতে দেশটিতে রাজনৈতিক অচলাবস্থা ক্রমশ জটিল হয়ে ওঠে।

বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার সময় হান সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট  প্রার্থীর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

হান ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন, তিনি ‘আরো বড় দায়িত্ব নিতে’ ইচ্ছুক।

শুক্রবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে হান বলেছেন, ‘আমি গভীরভাবে দেশকে ভালোবাসি।‘কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের ভবিষ্যতের এবং আমাদের সকলের জন্য আমি ভালো কিছু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ার জন্য আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

গত ডিসেম্বরে পার্লামেন্ট কর্তৃক ইউনকে অভিশংসিত করার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। 

৭৫ বছর বয়সী কর্মজীবনের আমলা ইউনের পিপল পাওয়ার পার্টির সাথে একত্রিত হয়ে উদারপন্থি নেতা লি জে-মিয়ংয়ের বিরুদ্ধে একটি ঐক্যবদ্ধ প্রচারণা শুরু করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। 

উদারপন্থি এবং রক্ষণশীল উভয় সরকারেই হান অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দেশটির রাষ্ট্রদূতসহ বিভিন্ন উচ্চপদস্থ দায়িত্ব পালন করেছেন।

উল্লেখ্য, হান দু’বার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রথমে প্রয়াত সাবেক প্রেসিডেন্ট রোহ মু-হিউনের অধীনে এবং সম্প্রতি ইউনের অধীনে। 

ওয়াশিংটনের শুল্ক আরোপের সাথে জড়িত চলমান বাণিজ্য সংকট মোকাবেলা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হান বলেছেন, ‘আমি কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের একজন গর্বিত জনসেবক হিসেবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্মুখ সারিতে কাজ করার জন্য আমার জীবন উৎসর্গ করতে রাজি।’

তিনি প্রেসিডেন্টের মেয়াদ কমানোর জন্য সংবিধান সংশোধন করারও অঙ্গীকার করেছেন। 

দেশটির সর্বোচ্চ আদালত একটি রায় বাতিল করার একদিন পর হানের এই ঘোষণা এলো। যেখানে লি-কে পূর্ববর্তী প্রচারণার সময় মিথ্যা বক্তব্য দেওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। যা আগামী মাসের নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনাকে ম্লান করে দিতে পারে।

একই দিনে, অর্থমন্ত্রী চোই সাং-মোক, যিনি ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে হানকে স্থলাভিষিক্ত করতে যাচ্ছেন, তিনি পদত্যাগ করেছেন, কারণ বিরোধী আইন প্রণেতারা সামরিক আইনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন। 

চোইয়ের পদত্যাগের পর অভিশংসন প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়।