বাসস
  ০২ মে ২০২৫, ০৯:৫৯

সুদানের দারফুরে ১০ দিনে অন্তত ১৬৫ জনকে হত্যা করেছে আরএসএফ: কর্মীরা

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ২ মে, ২০২৫ (বাসস): সুদানের আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) গত ১০ দিনে দারফুরের শেষ গুরুত্বপূর্ণ শহর এল-ফাশারে অভিযান চালিয়ে অন্তত ১৬৫ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীরা।

পোর্ট সুদান থেকে এএফপি জানায়, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের নিয়মিত সেনাবাহিনীর সঙ্গে এক রক্তক্ষয়ী সংঘাতে জড়িয়ে থাকা আরএসএফ আল-ফাশার শহরটি অবরুদ্ধ  করে রেখেছে এবং সেখানে ৭৫০টিরও বেশি মর্টার ও গোলাবারুদ নিক্ষেপ করেছে বলে শহরের স্বেচ্ছাসেবী ‘রেজিস্ট্যান্স কমিটি’ জানিয়েছে।

সংগঠনটি জানায়, হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এই প্রাণহানির সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা এটিকে ‘রক্তাক্ত গণহত্যা’ হিসেবে বর্ণনা করে জানায়, হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল আবাসিক এলাকা, বাজার ও বাস্তুচ্যুতদের শিবির।

গত মাসে রাজধানী খার্তুম থেকে পিছু হটার পর আল-ফাশারে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা আরও জোরালো করেছে আরএসএফ। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস একে ‘উত্তর দারফুর ও আল-ফাশারের ক্রমাগত বিপর্যয়কর পরিস্থিতি’ হিসেবে বর্ণনা করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

গুতেরেসের মুখপাত্র ফারহান হাক জানান, শহরের চেকপয়েন্টে বাস্তুচ্যুতদের হয়রানি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও ইচ্ছামতো আটকের অভিযোগেও তিনি উদ্বিগ্ন।

তৃতীয় বছরে গড়ানো এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত লক্ষাধিক মানুষ নিহত এবং ১ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

দেশটির মধ্য, পূর্ব ও উত্তরের নিয়ন্ত্রণ সেনাবাহিনীর হাতে এবং দারফুর অঞ্চলসহ দক্ষিণের বিস্তীর্ণ এলাকা আরএসএফের দখলে থাকায় সুদান কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে।

দেশের পাঁচটি অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হয়েছে, যার মধ্যে তিনটিই আল-ফাশারের উপকণ্ঠে অবস্থিত বাস্তুচ্যুতদের শিবির—এগুলোই সাম্প্রতিক লড়াইয়ের প্রধান যুদ্ধক্ষেত্র।