শিরোনাম
ঢাকা, ১ মে, ২০২৫ (বাসস): সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০২১ সালে কূটনৈতিক বিরোধের সময় তার নাগরিকদের লেবানন ভ্রমণের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে। বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।
দুবাই থেকে এএফপি আজ একথা জানায়।
লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন আবুধাবিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদের সাথে সাক্ষাতের একদিন পর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দুই পক্ষই দুই দেশের মধ্যে চলাচল সহজতর করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা স্থাপনের পর নাগরিকদের ভ্রমণের অনুমতি দিতে সম্মত হয়েছে।’
২০২১ সালে লেবাননের একজন মন্ত্রী ইয়েমেনে রিয়াদের নেতৃত্বাধীন সামরিক হস্তক্ষেপের সমালোচনা করার পর, সৌদি আরবের সাথে সংহতি প্রকাশ করে সংযুক্ত আরব আমিরাত তার নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং বৈরুত থেকে কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করে।
লেবাননের নাগরিকদের সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়নি, যদিও কিছু নাগরিক ভিসা পেতে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অবকাঠামো প্রকল্পগুলোকে সহায়তাকারী আবুধাবি উন্নয়ন তহবিল সম্ভাব্য যৌথ প্রকল্পগুলো অধ্যয়নের জন্য লেবাননে একটি প্রতিনিধিদল পাঠাবে।
লেবাননে হিজবুল্লাহর প্রভাবের কারণে গত এক দশকে বৈরুত এবং আবুধাবির মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে।
কিন্তু ইসরাইলের সাথে সাম্প্রতিক যুদ্ধের ফলে এই গোষ্ঠীটি দুর্বল হয়ে পড়ায়, সংযুক্ত আরব আমিরাত হল সর্বশেষ উপসাগরীয় দেশ যারা লেবাননের প্রতি তাদের আগ্রহ পুনর্নবীকরণ করেছে।
মার্চ মাসে, সৌদি আরব বলেছিল, তারা লেবাননের আমদানি পুনরায় শুরু করার পথে ‘বাধা’ পর্যালোচনা করবে
এবং তার নাগরিকদের লেবানন ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে।
জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর আউনের প্রথম বিদেশ সফরে রিয়াদে সৌদি আরবের কার্যত শাসক ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে সাক্ষাতের পর এই ঘোষণা আসে।
সিরিয়ায় হিজবুল্লাহর দুর্বলতা এবং গ্রুপের মিত্র বাশার আল-আসাদের উৎখাতের পর লেবাননে ক্ষমতার ভারসাম্য বদলে যাওয়ার পর রিয়াদ এবং ওয়াশিংটন উভয়েরই পছন্দের প্রার্থী আউন নির্বাচিত হন।