শিরোনাম
ঢাকা, ১ মে, ২০২৫ (বাসস): মার্কিন শুল্ক নিয়ে বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যেও শক্তিশালী সেমিকন্ডাক্টর বিক্রয়ের কারণে এপ্রিল মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার রপ্তানি বেড়েছে।
এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির এ দেশটি ওয়াশিংটনের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার এবং শক্তিশালী চিপস এবং অটো শিল্পের আবাসস্থল। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক বাণিজ্য তথ্যের ভিত্তিতে সিউল থেকে এএফপি এ সংবাদ জানিয়েছে।
কোরিয়া কাস্টমস সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে দেশটির মোট রপ্তানি ৫৮.২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩.৭ শতাংশ বেশি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, দেশের বৃহত্তম রপ্তানি পণ্য চিপস। এপিলে এ চিপসের রপ্তানি ১৭.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এছাড়া স্মার্টফোনসহ বেতার যন্ত্রপাতি ২৬.৫ শতাংশ ও বায়োফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের রপ্তানি ২১.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রসাধনী এবং বিউটি পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ২০.৮ শতাংশ, যেখানে কৃষি-খাদ্য পণ্যের রপ্তানিও ৮.৬ শতাংশ বেড়েছে।
কোরিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত রিপোর্টে আরও দেখা যায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নে রপ্তানি ১৮.৪ শতাংশ বেড়ে মাসিক রেকর্ড সর্বোচ্চ ৬.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যেখানে চীনে রপ্তানিও ৩.৯ শতাংশ বেড়েছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দেশটির রপ্তানি ৬.৮ শতাংশ কমেছে, যেখানে মোটরগাড়ির রপ্তানিও ৩.৮ শতাংশ কমেছে।
সিউল এবং ওয়াশিংটন ৮ জুলাই তার প্রশাসনের শুল্ক স্থগিতের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক প্রত্যাহারের লক্ষ্যে একটি "বাণিজ্য প্যাকেজ" তৈরির জন্য কাজ করছে।
ওয়াশিংটন মার্চের শুরুতে ইস্পাত আমদানির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করেছে, তারপরে অটো আমদানির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এছাড়াও, এপ্রিলের শুরুতে ১০ শতাংশ সর্বজনীন শুল্ক কার্যকর হয়েছে।
এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়াসহ প্রধান দেশগুলোকে লক্ষ্য করে উচ্চতর ‘পারস্পরিক’ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। যা আপাতত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
কোরিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রী আন ডাক গেউন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য রপ্তানি কমার পরেও চীন ও ইইউতে রপ্তানি বৃদ্ধি দক্ষিণ কোরিয়ার রপ্তানি সক্ষমতাকেই প্রমাণ করে।
এপ্রিল মাসে আমদানি ২.৭ শতাংশ কমেছে, ফলে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ৪.৮ বিলিয়ন ডলার, তবে তা আগের মাসের ৪.৯৮ বিলিয়নের তুলনায় কিছুটা কম।