শিরোনাম
ঢাকা, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : চীনের শেনঝোউ-১৯ মিশনের তিন নভোচারী ছয় মাস মহাকাশে কাটানোর পর বুধবার ভূপৃষ্ঠে ফিরে এসেছেন বলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের ভিডিওতে দেখা গেছে। বেইজিং মহাকাশ পরাশক্তি হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।
বেইজিং থেকে এএফপি জানায়, চীন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের মহাকাশ কর্মসূচিতে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছে, যার লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে চন্দ্রপৃষ্ঠে একটি মানববাহী অভিযানের বাস্তবায়ন এবং পরবর্তীতে সেখানে একটি ঘাঁটি স্থাপন।
গত সপ্তাহে তাদের সর্বশেষ উৎক্ষেপণে তিন নভোচারীকে তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনে পাঠানো হয়, যা শেনঝু-২০ মিশনের সূচনা হিসেবে চিহ্নিত।
তারা শেনঝি-১৯-এর ক্রু সদস্য কাই সুঝে, সং লিংডং এবং ওয়াং হাওঝে’র স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। তাদের অবতরণ ক্যাপসুল বুধবার উত্তর চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ইনার মঙ্গোলিয়ায় অবতরণ করে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশনের (সিসিটিভি) প্রচারিত ছবিতে দেখা যায়, লাল-সাদা ডোরাকাটা প্যারাসু্যটে যুক্ত ক্যাপসুলটি নীল আকাশ চিরে নামছে এবং শেষে বাদামি মরুভূমির ধুলোর মেঘের মধ্যে অবতরণ করছে।
অক্টোবর থেকে তারা মহাকাশ স্টেশনে কাজ করে যাচ্ছিলেন, সেখানে তারা নানা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা চালিয়েছেন এবং সর্বকালের দীর্ঘতম মহাকাশ-চলাচলের নতুন রেকর্ড গড়েছেন।
চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুরুতে এই দলের মঙ্গলবার ফিরে আসার কথা ছিল, তবে আবহাওয়া খারাপ থাকায় মিশন একদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়।
৩৫ বছর বয়সী ওয়াং ছিলেন ওই সময়ের একমাত্র চীনা নারী মহাকাশ প্রকৌশলী, জানিয়েছে চীনা মানব মহাকাশ সংস্থা (সিএমএসএ)।
মিশনের কমান্ডার কাই, ৪৮ বছর বয়সী সাবেক বিমানবাহিনীর পাইলট, ২০২২ সালে শেনঝু-১৪ মিশনের অংশ হিসেবে তিয়ানগংয়ে কর্মরত ছিলেন।
৩৪ বছর বয়সী সংও একসময় বিমানবাহিনীতে পাইলট ছিলেন। এই ত্রয়ীকে চীনে জনপ্রিয়ভাবে ‘তাইকোনট’ (চীনা নভোচারী) নামে ডাকা হয়।