বাসস
  ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:১৮

বিএসএমএমইউতে বিশ্ব মানের ক্যান্সার চিকিৎসা সেবা চালু করা হবে: উপাচার্য

ঢাকা, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ (বাসস): বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) লিউকেমিয়াসহ সকল ক্যান্সারের বিশ্ব মানের চিকিৎসাসেবা চালু করা হবে।
আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা.মিল্টন হলে বিশ্ব লিউকেমিয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো: শারফুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।
উপাচার্য লিউকেমিয়া রোগীর রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সম্পর্কে রোগী,রোগীর স্বজন ও স্বাস্থ্য সেবা দানকারীদের মাঝে সচেতনতা তৈরির ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, লিউকেমিয়ার ধরন অনুসারে চিকিৎসায় ভিন্ন হয়ে থাকে। ব্লাড ক্যান্সারসহ সকল ধরনের ক্যান্সার নির্ণয় ও জনসচেতনতা সৃষ্টিতে সবাই এগিয়ে আসতে হবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হেমাটোলজী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো: সালাহউদ্দীন শাহ। সেমিনারে হেমাটোলজী বিভাগের রেসিডেন্ট ডা. শারমিন ইয়াসমিন ও ডা. মীম জারিন তাসনিম  প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সেমিনারে জানানো হয়, সারা বিশ্বের মত ৪ সেপ্টম্বর বাংলাদেশেও উদযাপিত হয়েছে বিশ্ব লিউকেমিয়া দিবস। লিউকেমিয়া সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সতেনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই প্রতি বছর এ দিবসটি পালন করা হয়। ২০২০ সালে সারা পৃথিবীতে নতুন করে লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫ লাখ মানুষ এবং লিউকেমিয়ায় তিন লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। একই পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে এক বছরে নতুন প্রায় ৩ হাজার মানুষের লিউকেমিয়া শনাক্ত হয় এবং দুই হাজারের বেশি মানুষের লিউকেমিয়ায় মৃত্যু হয়। লিউকেমিয়া আক্রান্ত রোগীরা মূলত রক্ত স্বল্পতা, দুর্বলতা, রক্তপাত, জ্বর এসব উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে থাকেন।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে এক বছরে নতুন প্রায় ৩ হাজার মানুষের লিউকেমিয়া শনাক্ত হয় এবং দুই হাজারের বেশি মানুষের লিউকেমিয়ায় মৃত্যু হয়। লিউকেমিয়া আক্রান্ত রোগীরা মূলত রক্ত স্বল্পতা, দুর্বলতা, রক্তপাত, জ্বর এসব উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে থাকেন। 
এদিকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত  রোগী যাতে সহজে জরুরী চিকিৎসাসেবা, প্রয়োজনীয় ঔষধ এবং চিকিৎসার অন্যান্য উপকরণ সুলভে পেতে পারেন এবং রোগ নির্ণয়ের ও ঝুঁকি নির্ণয়ের সর্বাধুনিক ও  প্রয়াজনীয় সুবিধাদি সহজলভ্য এবং দেশে হেমাটোপরেটিক সেল ট্রান্সপ্লান্টেশন সার্ভিস আরো বিস্তৃত করার বিষয়ে সরকারী-বেসরকারী সকল পর্যায়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে বলে সেমিনারে উল্লেখ করা হয়। 
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো: জাহিদ হোসেন,সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো: হাবিবুর রহমান। সেমিনারে বিশেষজ্ঞ প্যানেলে ছিলেন মেডিসিন অনুষদের ডিন হেমাটোলজী বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, হেমাটোলজী বিভাগের অধ্যাপক ডা. এবিএম ইউনুস ও অধ্যাপক ডা. মো: রফিকুজ্জামান খান। 
 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়