বাসস
  ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:৪১
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:৪৮

বিএমইউতে ফিজিক্যাল মেডিসিন দিবস উদযাপন 

আজ বিএমইউতে ফিজিক্যাল মেডিসিন দিবস উদযাপন। ছবি : বাসস

ঢাকা, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): ‘সমন্বিত পুনর্বাসন চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বাংলাদেশ সোসাইটি অব ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ)-তে উদযাপিত হলো জাতীয় ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন দিবস- ২০২৫।

আজ দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা হয় বিএমইউর বটতলা প্রাঙ্গণ থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালির মাধ্যমে। র‌্যালিটি উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার।

পরে শহীদ ডা. মিলন হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. তসলিম উদ্দিন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ডা. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, অধ্যাপক ডা. এম. এ. শাকুর, ডা. মেহেদী হাসান, ডা. শেখ ফরহাদ, ডা. এরশাদ আহসান সোহেল ও ডা. আবু নাছের। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ডা. এ. কে. আজাদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, বর্তমানে স্ট্রোক, দুর্ঘটনা, আর্থ্রাইটিস ও স্পাইনাল ইনজুরিতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এসব ক্ষেত্রে ওষুধ বা অস্ত্রোপচার যথেষ্ট নয়, ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন অপরিহার্য। 

তিনি জানান, বিএমইউ ইতোমধ্যেই দেশের প্রথম রোবোটিক রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার স্থাপন করেছে, যা চিকিৎসা প্রযুক্তির নতুন যুগের সূচনা করেছে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘খেলোয়াড়দের ফিজিক্যাল ও মেন্টাল ফিটনেস ধরে রাখতে চিকিৎসকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা হয়তো মাঠে রান করি, কিন্তু আপনারা মানুষের জীবন বাঁচান-যা অনন্য ও অমূল্য অবদান।’

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. তসলিম উদ্দিন বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী ও মানবিক পুনর্বাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব। আমরা সব সময় বলি, ‘ডিসএবিলিটি মানেই ডিজএবল নয়’, বরং এটি ভিন্ন সক্ষমতা। সঠিক চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে অক্ষমতাকে সক্ষমতায় রূপ দেওয়া সম্ভব।”

অধ্যাপক ডা. এম. এ. শাকুর বলেন, ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশনের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সরকার, প্রতিষ্ঠান ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পুনর্বাসন চিকিৎসার মান আরও উন্নত করা সম্ভব।

দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিতে চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, ফিজিওথেরাপিস্ট, নার্স এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য পেশাজীবী অংশগ্রহণ করেন।