শিরোনাম
ঢাকা, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনের আওতায় ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৪ জন শিশুকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শুরু হওয়া এ কার্যক্রম চলবে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। সরকার প্রায় পাঁচ কোটি শিশু-কিশোর-কিশোরীকে বিনামূল্যে এই টিকা প্রদান করবে। এমনকি যেসব শিশুর জন্মসনদ নেই, তারাও এই টিকার আওতায় আসবে।
এই প্রথমবারের মতো দেশে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। টিকাটি তৈরি করেছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এবং সরকার এটি পেয়েছে আন্তর্জাতিক টিকাবিষয়ক সংস্থা গ্যাভির সহায়তায়।
এ পর্যন্ত ১ কোটি ৯৩ লাখ ২৩ হাজার ৩১৬ জন শিশু-কিশোর নিবন্ধন করেছে। এর মধ্যে স্কুল পর্যায় থেকে নিবন্ধন করেছেন ১ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৪৮১ জন এবং কমিউনিটি পর্যায় থেকে ৫১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৩৫ জন। গতকাল পর্যন্ত স্কুল পর্যায় থেকে টিকা নিয়েছেন ১৫ লাখ ১৬ হাজার ১৬২ জন এবং কমিউনিটি পর্যায় থেকে ১ লাখ ৩৯ হাজার ২০২ জন।
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে) অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান বলেন, “এই টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত, নিরাপদ এবং কার্যকর। নেপাল, পাকিস্তানসহ আরও আটটি দেশে এটি প্রয়োগ করা হয়েছে এবং বড় ধরনের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার নজির নেই।”
তিনি আরও বলেন, “টাইফয়েড নিরাময়ে সাধারণত এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। এই টিকা ব্যাপকভাবে প্রয়োগের ফলে টাইফয়েডের প্রকোপ কমলে দেশে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহারও হ্রাস পাবে।”
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে দেশে ৪ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়েছিল, যার মধ্যে ৮ হাজার জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে ৬৮ শতাংশই ছিল শিশু। যদিও টাইফয়েডের প্রকোপ বিষয়ে ধারাবাহিক পরিসংখ্যান নেই, তবে ধারণা করা হচ্ছে রোগটির বিস্তার বাড়ছে। পাশাপাশি ওষুধ-প্রতিরোধী টাইফয়েড জ্বরের প্রকোপও ক্রমবর্ধমান।