শিরোনাম
খুলনা, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : আগামী ১২ অক্টোবর থেকে জেলায় মাসব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। ১২ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে এবং ১ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন কমিউনিটিতে টিকাদান কর্মসূচি পরিচালিত হবে। খুলনা মহানগরীতে ‘টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫’ সফল করার লক্ষ্যে গতকাল সোমবার বিকেলে নগরীর শেরে বাংলা রোডস্থ নগর স্বাস্থ্য ভবনে আয়োজিত এক এডভোকেসি সভায় একথা জানানো হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) এর প্রশাসক মো. ফিরোজ সরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ-এর সহযোগিতায় কেসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ এ সভার আয়োজন করে।
মো. ফিরোজ সরকার বলেন, টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে মহানগরীকে ৪টি জোনে ভাগ করে ৬২ জন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে ২৫২ জন ঠিকাদার এবং ৩৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবে। ১৩৪টি প্রাথমিক ও ১১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ৩১৯টি অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন কমিউনিটির ৯ থেকে ১৫ বছরের কম বয়সি সর্বমোট ১ লাখ ৭২ হাজার ৩৭০ জনকে টিকাদানের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি খুলনা মহানগরীতে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শতভাগ সফল করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, টাইফয়েডের টিকায় কোন ক্ষতিকর প্রভাব নেই। তাই এ বিষয়ে নগরবাসীকে আশ্বস্ত করা এবং জনসচেনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে।
সভায় জানানো হয়, টাইফয়েড জ্বর একটি প্রতিরোধযোগ্য সংক্রামক রোগ। দূষিত খাবার ও পানি পানের মাধ্যমে এ রোগের বিস্তার ঘটে। এ জ্বরে আক্রান্ত হলে দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক জটিলতাসহ আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই টিকা টাইফয়েড জ্বরের বিস্তার রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সভায় জানানো হয়।
কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শরীফ আসিফ রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক ডা. মো. মুজিবুর রহমান, কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোহিনুর জাহান, বিএনএস উপশম এর নির্বাহী কর্মকর্তা লে. কর্নেল মো. মোসাদ্দেকুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. মোছা. মাহফুজা খাতুন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. আনিসুজ্জামান শিকদার ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম সাইদুর রহমান।
অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসআইএমও ডা. নাজমুর রহমান সজিব, কেসিসির শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা এসকেএম তাছাদুজ্জামান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা মারুফ রশিদ, প্রধান কর নির্ধারক শেখ হাফিজুর রহমানসহ ওয়ার্ডের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ ও সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন। কেসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শরীফ শাম্মীউল ইসলাম সভা পরিচালনা করেন ।