শিরোনাম

ময়মনসিংহ, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ (বাসস) : তারুণ্যের কর্মসংস্থান ও দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে “তারুণ্যের উৎসব-২০২৫” উপলক্ষে দিনব্যাপী চাকরি মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আজ বুধবার ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের হোস্টেল মাঠে অনুষ্ঠিত এ চাকরি মেলা দিনব্যাপী চলবে।
চাকরি মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন, প্রধান অতিথি ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মিজ ফারাহ শাম্মী (এনডিসি)।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন এসেট প্রকল্পের অর্থায়নে ও ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আয়োজনে এবং বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় চাকরি মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. কেপায়েত উল্লাহর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন, ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের উপাধ্যক্ষ মো. শওকত হোসেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, কারিগরি শিক্ষাই তরুণদের আত্মনির্ভরশীল করে তোলার অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। বর্তমান বিশ্ব প্রতিযোগিতামূলক হওয়ায় চাকরির বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নিজেকে দক্ষ, যোগ্য ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, দক্ষতা উন্নয়ন আজ সময়ের সবচেয়ে বড় দাবি। বাংলাদেশকে প্রযুক্তিতে আরও এগিয়ে নিতে হলে তরুণ প্রজন্মকে আধুনিক প্রযুক্তি ও কারিগরি জ্ঞানে দক্ষ হতে হবে। এ লক্ষ্যে সকল চাকরিপ্রত্যাশীকে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আগেভাগেই সমন্বয় ও সহযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে। শিল্প-কারখানা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কার্যকর কলাবরেশন গড়ে উঠলে বাস্তবমুখী দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তিতে আরও উন্নত ও স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারলে বিদেশের ওপর নির্ভরশীল হতে হতো না আমাদের। দেশপ্রেম জাগ্রত করা অত্যন্ত জরুরি। দেশেই কাজ করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ ও আত্মনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মিজ সেঁজুতি ধর (উপসচিব) এবং এসেট প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী রবীন্দ্রনাথ মাহাত।
চাকরি মেলায় বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান, কারখানা ও প্রশিক্ষণ সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষার্থীদের জন্য সরাসরি সাক্ষাৎকার, ক্যারিয়ার গাইডলাইন, চাকরির তথ্য এবং দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক পরামর্শ প্রদান করা হয়।
মেলায় শিল্প-কারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মোট ৩৫টি স্টল অংশ নেয়। মেলা চলাকালীন সময়ে প্রায় ৫০জন চাকুরি প্রত্যাশীর জীবন বৃত্তান্ত দেখে পর্যালোচনা করে, ভাইভা শেষে নিয়োগপত্র দেয়া হয়।
দিনব্যাপী এ আয়োজনে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, চাকরিপ্রত্যাশী তরুণ-তরুণী এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আয়োজকরা জানান, এ ধরনের চাকরি মেলা তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।