বাসস
  ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:১৪

প্রেস সচিবের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার শনাক্ত: বাংলাফ্যাক্ট

ঢাকা, ৬ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : ডিবিসি ও একাত্তর টিভি’র ফটোকার্ড সম্পাদনা করে প্রেস সচিবের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) ফ্যাক্ট চেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট।

বাংলাফ্যাক্ট যাচাই করে দেখেছে, ডিবিসি ও একাত্তর টিভির ফটোকার্ড সম্পাদনা করে প্রেস সচিবের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার করা হয়েছে। সম্প্রতি যমুনা টিভি ও ডিবিসি নিউজের লোগো ও ডিজাইন সম্বলিত ফটোকার্ডে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের নামে কিছু মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। যেমন, শফিকুল আলমের নামে ডিবিসি নিউজের লোগো সম্বলিত ফটোকার্ডে ‘জামায়াত শিবিরের ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে না সরকার’ মন্তব্য প্রচারিত হচ্ছে। একাত্তর টিভির লোগো সম্বলিত ফটোকার্ডে ‘জামায়াত শিবিরের কাজকর্ম ভালো লাগে না : শফিকুল আলম’ মন্তব্য প্রচার হচ্ছে। 

বাংলাফ্যাক্ট যাচাই করে দেখেছে, গণমাধ্যমের ফটোকার্ডের আদলে ছড়িয়ে পড়া এমন কোনো মন্তব্য করেননি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তাছাড়া, ডিবিসি নিউজ ও একাত্তর টিভি আলোচিত মন্তব্য সম্বলিত এমন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। গণমাধ্যম দু’টির ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে নকল করে শফিকুল আলমের নামে জামায়াতে ইসলামীকে জড়িয়ে আলোচিত মন্তব্য দু’টি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

ডিবিসি নিউজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে গত ৫ অক্টোবর ‘আওয়ামী লীগের ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে না সরকার’ শিরোনামে একটি ফটোকার্ড প্রকাশিত হয়।

এটাকে সম্পাদনা করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়। একাত্তর টেলিভিশনের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে গত ৩ অক্টোবর ‘বিদেশ ভ্রমণ ভালো লাগে না : শফিকুল আলম’ শিরোনামে একটি ফটোকার্ড প্রকাশিত হয়। এটাকে সম্পাদনা করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়।

বাংলাফ্যাক্ট অনুসন্ধান টিম জানায়, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের নামে ছড়ানো এই মন্তব্যগুলো ভুয়া। একাত্তর টেলিভিশন এবং ডিবিসি নিউজের ফটোকার্ড সম্পাদনা করে আলোচিত ফটেকার্ড দু’টি তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়ানো হয়েছে।

গত বছর থেকে ভারতীয় গণমাধ্যম ও ভারত থেকে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং দেশেও বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশকে জড়িয়ে, অন্তর্বর্তী সরকার, খাগড়াছড়ি ইস্যু, চব্বিশের আন্দোলনে অংশ নেওয়া দল ও সংগঠনের বিরুদ্ধে গুজব, ভুয়া তথ্য প্রচারের হার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানগুলো।

ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া শত-শত ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে বাংলাদেশের ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান বাংলাফ্যাক্ট। বাংলাদেশে চলমান গুজব এবং ভুয়া খবর, অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ায় দায়িত্ব পালন করছে বাংলাফ্যাক্ট।