বাসস
  ২৬ জুন ২০২৫, ২১:৫৪

দুদক নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন করেছে রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড ও ওয়ান ইন্ডিয়া : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

ঢাকা, ২৬ জুন, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সম্পর্কে ভারতীয় দুটি সংবাদমাধ্যম—রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড ও ওয়ান ইন্ডিয়া—সম্প্রতি বিভ্রান্তিকর ও পুরোনো তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

আজ প্রেস উইংয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে বলা হয়, ২৫ জুন এ দুটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়- দুদক নগদের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক ও নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলমের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করেছে। প্রতিবেদনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আরও দাবি করা হয়, এসব অভিযোগ ছিল ‘ভিত্তিহীন’ এবং সেগুলোর পেছনে ‘ইচ্ছাকৃত ভুল তথ্য ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিদ্বেষ’ ছিল।

প্রেস উইংয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, এই প্রতিবেদন মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। দুদক এখনো মিশুক ও আলমের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার করেনি। বরং ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দুটি মূলত ২০২৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি রিপোর্টকে ভিত্তি করে সংবাদটি তৈরি করেছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, একটি স্বাধীন অডিটে নগদ আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছে। তবে সে রিপোর্ট দুদকের নয়।

প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি বছরের ৪ জুন দুদক তানভীর এ মিশুকসহ নগদের নয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৬৪৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। তদন্তে দেখা গেছে, ২০২১ সালের ১ মার্চ থেকে ২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময়কালে নগদ ৪১টি অননুমোদিত পরিবেশকের মাধ্যমে এই অর্থ আত্মসাৎ করেছে।

এছাড়া, দুদক আরও প্রমাণ পেয়েছে, নগদ অতিরিক্ত ইলেকট্রনিক মানি (ই-মানি) তৈরি করে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অর্থ পাচার করেছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তানভীর এ মিশুক, নগদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ কামালসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে পৃথক একটি দুর্নীতির মামলা করে। ওই তদন্তে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে পরিচালিত অডিটে ১০১ কোটিরও বেশি টাকার ক্যাশ ঘাটতি ধরা পড়ে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন বিভ্রান্তিকর ও তথ্যভিত্তিক নয়। পাঠকদের উচিত এ ধরনের পুরোনো ও বিকৃত তথ্যে বিভ্রান্ত না হয়ে বিশ্বাসযোগ্য উৎস থেকে তথ্য যাচাই করে নেওয়া।