বাসস
  ২২ জুন ২০২৫, ১৮:৩০
আপডেট : ২২ জুন ২০২৫, ১৯:০৩

হিন্দু কিশোরী অপহরণের গুজব খণ্ডন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের

ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

ঢাকা, ২২ জুন, ২০২৫ (বাসস) : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আজ রোববার হিন্দু কিশোরী ঝুমুর শর্মার অপহরণের গুজব খণ্ডন এবং এটাকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রচারণা বলে অভিহিত করেছে।

সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্ট আজ তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে জানায়, ‘সম্প্রতি বেশ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টে— বিশেষ করে যেগুলো হিন্দুত্ববাদী বিভ্রান্তিমূলক প্রচার নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত— সেখানে মিথ্যা দাবি করা হয়েছে যে বাংলাদেশের হিন্দু কিশোরী ঝুমুর শর্মাকে উগ্রবাদীরা অপহরণ করেছে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশজুড়ে হিন্দু কিশোরী ও বিবাহিত নারীদের অপহরণের ঘটনা বেড়েছে ইসকনের কলকাতার সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র রাধারমন দাস (@RadharamnDas) টুইট করে এমন কথা বলার পর এই গুজব ছড়াতে শুরু করে।

তিনি আরও দাবি করেন, হিন্দু পরিবারগুলো সব সময় আতঙ্কে বাস করছে, তাদের মেয়েরা কোনো প্রমাণ না রেখেই নিখোঁজ হচ্ছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, অনেক ক্ষেত্রে এই অপহরণের পর জোরপূর্বক ধর্মান্তর ও বিয়ের ঘটনা ঘটছে।

রাধারমন দাস বাংলাদেশে হিন্দুদের জরুরি সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এর প্রতিবাদ করায় আহ্বান জানান।

প্রেস উইং জানায়, এছাড়াও বিজেপি নেত্রী গার্গী মুখার্জী (@gargiMu48960835) মিথ্যাভাবে দাবি করেন, ঝুমুর শর্মাকে জোর করে ধর্মান্তরের উদ্দেশ্যে অপহরণ করা হয়েছে এবং বাংলাদেশের পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে খুঁজে বের করার কোনো চেষ্টা করেনি।

তিনি আরও দাবি করেন, হিন্দু মেয়েরা নীতি বিবর্জিত ইউনূস সরকারের অধীনে নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।

প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তবে এই সব দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। ঝুমুর শর্মাকে অপহরণ করা হয়নি। আসলে, তার বয়স ২০ বছরের বেশি এবং তিনি ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে নিখোঁজ হয়েছিলেন, ওই মাসেই তাকে পাওয়া গিয়েছিল।’

সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে ঝুমুরের এক আত্মীয় এই অপহরণ সংক্রান্ত গুজব প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন, ঝুমুরকে কোনো উগ্রপন্থী বা অন্য কেউ অপহরণ করেনি।

প্রেস উইং জানায়, তবে তিনি তার নাম প্রকাশ না করা অনুরোধ জানিয়েছেন এবং এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি।

প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এই ধরনের প্রচারণা একাধিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট থেকে সমন্বিতভাবে পুনরাবৃত্তি হওয়াই এটা প্রমাণ করে যে এটি একটি সুপরিকল্পিত প্রচারণা, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে হেয় করা এবং বৃহত্তর পরিসরে বাংলাদেশ বিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে।’