বাসস
  ০২ জুন ২০২৫, ১০:৩৭

অর্থ পাচারের ঘটনা আড়াল করতে ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার শনাক্ত : বাংলাফ্যাক্ট

ঢাকা, ২ জুন, ২০২৫ (বাসস): ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অর্থ পাচারের ঘটনা আড়াল করতে দীর্ঘ সময় ধরে ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচারের বিষয়টি শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর ফ্যাক্টচেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘গত ১০ মাসে দেশ থেকে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার অর্থ পাচার হয়েছে’ এমন দাবিতে কিছু পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে বলে বাংলাফ্যাক্টের অনুসন্ধানে শনাক্ত হয়। তবে তথ্য যাচাই করে দাবিটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। 

প্রকৃতপক্ষে, সম্প্রতি মূলধারার দুটি জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ ও বাংলাদেশ প্রতিদিনে এ সম্পর্কিত বিভ্রান্তিকর শিরোনামের সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে ওই দুটি ভিন্ন তথ্য একত্রিত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের ভূয়া দাবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

বাংলাফ্যাক্ট জানায়, মূলধারার একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২৭ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মোট ১৮ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার পাচার হওয়ার বিষয়টি জানান। ওই অনুষ্ঠানে আরো জানানো হয়, চলতি অর্থবছরের সাড়ে ১০ মাসে ২৭ হাজারেরও বেশি সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

দৈনিক কালের কণ্ঠ ও বাংলাদেশ প্রতিদিন গত ২৮ মে ‘১০ মাসে ২৭ হাজার সন্দেহজনক লেনদেন, পাচার ২০ বিলিয়ন ডলার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। এই শিরোনাম দেখে মনে হতে পারে, গত ১০ মাসেই ২০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। অথচ প্রতিবেদনের বিস্তারিত অংশে বলা হয়েছিল, এই অর্থ পাচারের ঘটনা আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে দীর্ঘ সময় ধরে ঘটেছে।

গণমাধ্যম দুটি তাদের ফেসবুক পেজেও একই শিরোনামে ফটোকার্ড প্রকাশ করে। তবে বাংলাদেশ প্রতিদিন ও কালের কণ্ঠ পরবর্তীতে উক্ত সংবাদের শিরোনাম সংশোধন করে দেয়।

বাংলাফ্যাক্ট অনুসন্ধান টিম আরো জানায়, গণমাধ্যম দুটি সংবাদে যদিও বিস্তারিত অংশে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করেছে, তবে বিভ্রান্তিকর শিরোনামের ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুল ব্যাখ্যা ও দাবি ছড়িয়ে পড়ে।

বাংলাদেশে চলমান গুজব, ভুয়া খবর ও অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে দায়িত্ব পালন করছে বাংলাফ্যাক্ট।