শিরোনাম

ঢাকা, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ‘২৪তম নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনী ২০২৫’ শেষ হয়েছে।
আজ বুধবার বিকেল ৫টায় জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় এই প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব এবং প্রদর্শনীর ক্যাটালগের মোড়ক উন্মোচন করেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শেখ রেজাউদ্দিন আহমেদ (রেজাউদ্দিন স্টালিন)।
অনুষ্ঠানে প্রদর্শনী রিভিউ আলোচনার মূল বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক শিল্পী মোহাম্মদ জাহিদুল হক। এ ছাড়াও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক শিল্পী রেজা আসাদ আল হুদা অনুপম এবং শিল্পী ও শিল্প সমালোচক মো. বজলুর রশিদ শাওন।
এতে স্বাগত বক্তৃতা দেন চারুকলা বিভাগের পরিচালক আব্দুল হালিম চঞ্চল।
একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, আমাদের চিত্রকলার যে নিজস্ব একটা ধারা, সে ধারাকে আমাদের বিনির্মাণ করতে হবে। যে জাতি তার নিজস্ব সংস্কৃতির যে ধারাগুলো রয়েছে, সে ধারাগুলোকে যদি বিকশিত না করে তাহলে জাতি হিসেবে তারা উন্নতি করতে পারে না।
তিনি বলেন, আমাদেরও একটা ঐতিহ্য তৈরি করতে হবে। সেই ঐতিহ্য তৈরি করে শিল্পীরাই, বিশেষ করে নবীন শিল্পীরা। এখন থেকে প্রতি বছর ‘নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনী’ আয়োজন করা হবে।
প্রতি বছরই পুরস্কারের ধাপগুলো বাড়ানো হবে জানিয়ে রেজাউদ্দিন স্টালিন বলেন, শিল্পীদের অনেক সময় অসম্ভব কষ্টে জীবন-যাপন করতে হয়। আমরা চাই না আমাদের শিল্পীরা সেই কষ্টে থাকুক। অনেক শিল্পী আছে যারা অনেক কষ্টে জীবন-যাপন করে গেছেন, আজ তাদের একটি শিল্পকর্মের মূল্য অনেক। কিন্তু তাঁরা তা ভোগ করে যেতে পারেনি। এখনকার শিল্পীদের যেন সেই অবস্থায় পরতে না হয় এবং সমাজে মাথা উচুঁ করে চলতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা করে যাব।
উল্লেখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর উদ্বোধন করা হয় ‘২৪তম নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনী ২০২৫’। এ বছর উন্মুক্ত আহ্বানের মাধ্যমে নবীন (বয়স ২১ থেকে ৩৫ বছর) ৬৮১জন শিল্পীর ১ হাজার ৩৯৩টি শিল্পকর্ম জমা পড়ে। সেখান থেকে শিল্পকর্ম বাছাই কমিটি ১৯১ জন শিল্পীর ২১৫টি শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচন করে। এই প্রদর্শনীতে বিভিন্ন মাধ্যম, যেমন- চিত্রকলা, ভাস্কর্য, প্রাচ্যকলা, কারুশিল্প, মৃৎশিল্প, আলোকচিত্র, স্থাপনাশিল্প, পারফরমেন্স আর্ট, নিউ মিডিয়া আর্টসহ চারুশিল্পের প্রায় সকল মাধ্যমের শিল্পকর্ম ছিল। বাছাইকৃত ১৯১ জন শিল্পীকে পুরস্কারের আওতায় এনে মোট ১০টি শিল্পকর্মের জন্য পুরস্কার প্রদান করা হয়।