শিরোনাম

দিনাজপুর, ১০ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় আট বছর পর ভারত থেকে আবার আপেল আমদানি শুরু করা হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রায় ৮ বছর ধরে ভারত থেকে বৈধপথে আপেল আমদানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। দেশের বাজারে আপেলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সম্প্রতি উভয় দেশের আমদানিকারক ব্যবসায়ীদের সমঝোতা বৈঠকের পর রোববার বিকেল থেকে হিলি দিয়ে ভারত থেকে আপেল আমদানি শুরু করা হয়েছে। কাশ্মীর থেকে এসব আপেল আমদানি করেছে চট্টগ্রামের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খাজা আজমির ট্রেডিং।
সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী জানান, রোববার বিকেল ৫ টায় ভারত থেকে আপেল বোঝাই ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করে। প্রথম দিন এক ট্রাকে ৩০ টন আপেল আমদানি করা হয়েছে। কাস্টমস বিভাগের যাচাই-বাছাই শেষে সন্ধ্যায় পর এসব আপেল খালাস কার্যক্রম শুরু হয়।
হিলি স্থলবন্দরের শ্রমিক সদ্দার নিজাম উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন পর আপেল আমদানি শুরু হওয়ায় খুশি বন্দরের শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। আমদানি বাড়াতে এনবিআরের সহযোগিতা চেয়েছেন ব্যবসায়ী শ্রমিক প্রতিনিধিরা।
আমদানিকারক আলহাজ্ব এম এ আবছার আলী বলেন, দীর্ঘদিন পর প্রাইম এন্টারপ্রাইজ সিএন্ডএফের মাধ্যমে ভারতের মালদার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভাই ভাই ট্রের্ডাস কাশ্মীর থেকে এসব আপেল রপ্তানি করেছেন।
আমদানিকৃত আপেলের বাজার ও দাম ভালো পেলে আরও বেশি পরিমাণ আমদানি করা সম্ভব হবে। এ জন্য উভয় দেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং কাস্টমস বিভাগের সৎ ইচ্ছার প্রয়োজন। অবৈধ পথে প্রতিদিন ভারত থেকে আপেল দেশে প্রবেশ করছে। এক্ষেত্রে উভয় দেশ বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দর কাস্টমস বিভাগের রাজস্ব কর্মকর্তা এম আর জামান বাঁধন বলেন, দীর্ঘদিন পর এই বন্দর দিয়ে আপেল আমদানি শুরু হয়েছে। প্রতি টন আপেল ৭০০ ডলারে শুল্কায়ন করা হচ্ছে। আপেল যেহেতু কাঁচাপণ্য, তাই দ্রুত ছাড় করণে আমদানিকারকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। আজ সোমবার আরও কয়েক ট্রাক আপেল বন্দর দিয়ে প্রবেশ করবে।