শিরোনাম

ঢাকা, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে আজ বড় ধরনের উত্থান দেখা গেছে। ডিএসইতে আজ ১ লাখ ৬০ হাজার ৩৫৭টি ট্রেডের মাধ্যমে মোট ১৪ কোটি ৮৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৯৬টি শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। এতে দিনের মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৭৬ কোটি ১০ লাখ ২৭ হাজার ১৬৭ টাকা। আজ মোট ৩৯৪টি সিকিউরিটিজের লেনদেন হয়েছে। যার মধ্যে ২৪১টির দরবৃদ্ধি, ৮১টির দরপতন এবং ৭২টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
আজ ডিএসই সূচকের মধ্যে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) আগের কার্যদিবসের তুলনায় ২৯.৮২ পয়েন্ট বেড়ে ৫১২২.২২ পয়েন্টে দাঁড়ায়। ডিএস-৩০ সূচক ৫.০০ পয়েন্ট বেড়ে ১৯৮৭.৭৬ পয়েন্ট এবং শরীয়াহ সূচক (ডিএসইএস) ৭.৮৬ পয়েন্ট বেড়ে ১০৮২.৬৩ পয়েন্টে উন্নীত হয়।
লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো—ওরিয়ন ইনফিউশন, খান ব্রাদার্স পিপি, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, সী পার্ল বিচ, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, সোনালী পেপার, তৌফিকা ফুডস এবং রবি আজিয়াটা।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো—তমিজ উদ্দীন টেক্সটাইল, এস. আলম কোল্ড রোল্ড, ফনিক্স ইন্স্যুরেন্স, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, গোল্ডেন সন, ট্রাস্ট ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ফু-ওয়াং ফুডস, শাইনপুকুর সিরামিক, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার এবং দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স।
দর পতনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো—ওরিয়ন ইনফিউশন, ফনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, রিং সাইন টেক্সটাইল, ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এলআর গ্লোবাল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ১, বিডি ফাইন্যান্স, ডোমিনেজ স্টিল, আজিজ পাইপ এবং নিউলাইন ক্লোথিং। আজ ডিএসইর মোট বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৬৯, ৯৫, ৪৭০ কোটি ১১ লাখ ৬৯ হাজার ১৩৯ টাকা।
বাজারের ক্যাটাগরি অনুযায়ী দেখা যায়, এ-ক্যাটাগরির ২১৬টি কোম্পানির মধ্যে ১৩২টির দর বেড়েছে, ৪৭টির কমেছে এবং ৩৭টির দর অপরিবর্তিত ছিল। বি-ক্যাটাগরির ৭৯টির মধ্যে ৫৭টির মূল্যবৃদ্ধি পায়। জেড ক্যাটাগরির ৯৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫২টির দর বাড়ে। এন-ক্যাটাগরির কোনো সিকিউরিটিজের লেনদেন হয়নি আজ।
মিউচুয়াল ফান্ডের ৩৫টির মধ্যে ১১টি ইউনিটের দর বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ৭টি কমেছে। করপোরেট বন্ডের তিনটির মধ্যে একটির দর বেড়েছে এবং একটির কমেছে। সরকারি সিকিউরিটিজের দুটির মধ্যে একটির দর বৃদ্ধি ও অপরটির দর হ্রাস পেয়েছে।
এদিন ডিএসইর মোট বাজারমূল্য দাঁড়ায় ৬,৯৯, ৫৪৭ কোটি ১১ লাখ ৬৯ হাজার ১৩৯ টাকা। এর মধ্যে ইক্যুইটির বাজারমূল্য ছিল ৩, ৪০, ৭৮৪ কোটি ৬ লাখ ৮৩ হাজার ৬১৪ টাকা এবং ঋণপত্র বাজারমূল্য দাঁড়ায় ৩, ৫৬, ২০৫ কোটি ২৩ লাখ ৯০ হাজার ৬৪৮ টাকা। মিউচুয়াল ফান্ডের বাজারমূল্য ছিল ২ হাজার ৫৫৭ কোটি ৮০ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭৬ টাকা।