শিরোনাম
ঢাকা, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : শেখ হাসিনার শাসনামলে অনিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতির কারণে ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ঋণগ্রহীতাদের জন্য ঋণ পুনঃতফসিল করার সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোর জন্য একটি নির্দেশিকা চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এই উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মঙ্গলবার রাতের একটি সার্কুলার জারি করেছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে যে ঋণ গ্রহীতারা মাত্র ২ শতাংশ অগ্রিম প্রদানের শর্তে শ্রেণীবদ্ধ ঋণ সর্বোচ্চ ১০ বছরের জন্য পুনঃতফসিল করতে পারবেন।
সার্কুলারে আরো বলা হয়েছে, উপযুক্ত ঋণ গ্রহীতাদের সর্বোচ্চ দুই বছরের গ্রেস পিরিয়ড দেওয়া হবে। তবে অগ্রিম অর্থ নগদে দিতে হবে এবং পূর্বে প্রদত্ত কিস্তি অগ্রিম হিসেবে গণ্য হবে না।
আবেদন জমা দেওয়ার শেষ সময় ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর ।
এই সুবিধার আওতায় প্রতারণা, জালিয়াতি বা অনিয়মের মাধ্যমে নেওয়া ঋণ অন্তর্ভুক্ত নয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২০২২ সালের মাস্টার সার্কুলার অনুসারে, পূর্বে পুনঃতফসিল করার জন্য সর্বনিম্ন ২.৫-৪.৫ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট এবং সর্বোচ্চ আট বছরের মেয়াদ প্রয়োজন ছিল।
নতুন সার্কুলারের অধীনে, যারা তৃতীয়বার বা তার বেশি ঋণ পুনঃসামঞ্জস্য করছেন, তাদের জন্য অতিরিক্ত ১ শতাংশ অগ্রিম প্রদানের শর্ত থাকবে। কিস্তি পরিশোধ মাসিক বা ত্রৈমাসিক হতে পারে, যা ব্যাংক-গ্রাহক চুক্তির ওপর নির্ভর করবে।
সার্কুলারে আরও স্পষ্ট করা হয়েছে যে বিশেষভাবে পুনঃসামঞ্জস্যকৃত ঋণগুলোকে স্পেশাল ম্যানসন অ্যাকাউন্ট (এসএমএ) হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করতে হবে এবং ব্যাংকগুলোকে এদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রভিশন বজায় রাখতে হবে।