শিরোনাম
ঢাকা, ১৫ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি জোরদারে প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে বাংলাদেশে টেকসই বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে কানাডা।
গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা’র ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক সহকারী উপমন্ত্রী (এডিএম) ওয়েলডন এপ প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে বাংলাদেশ সফর করছেন। এ সফরে তিনি সরকার, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন।
সফরের অংশ হিসেবে ওয়েলডন এপ বাণিজ্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এবং পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়ামের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশে কৃষি, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ সম্ভাবনার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবনে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে ২০২৪ সালে কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ পৌঁছেছে ৩.২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (২৭ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা)।
বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণের পথে, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা এবং অভিন্ন সমৃদ্ধির লক্ষ্যে অটোয়া একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে পাশে রয়েছে বলে কানাডার হাইকমিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
ওয়েলডন এপ সফরের অংশ হিসেবে গিল্ডান-এর ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করেন। গিল্ডান ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশের মধ্যে কানাডার সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী। বাংলাদেশে বর্তমানে কোম্পানিটির তিনটি কারখানা ও একটি ডিস্ট্রিবিউশন হাব রয়েছে এবং এতে ৯ হাজারের বেশি বাংলাদেশি কর্মরত রয়েছেন।
হাইকমিশন জানিয়েছে, এ সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো কানাডিয়ান বিনিয়োগ বাড়ানোর উপায় খুঁজে বের করা, যা উভয় দেশে মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতকে শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে ওয়েলডন এপ দীর্ঘমেয়াদী কানাডিয়ান অংশীদার আইসিডিডিআর,বি পরিদর্শন করেন, যেটি কম খরচে উচ্চ-প্রভাবসম্পন্ন স্বাস্থ্য সরঞ্জাম উদ্ভাবনের জন্য সুপরিচিত।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য উন্নয়নে কানাডা নতুন করে ১ কোটি ৫০ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অনুদান আইসিডিডিআর,বি-র উদ্যোগুগলোতে সহায়তা করবে।
এছাড়াও, কানাডা-অর্থায়িত প্রোনার্স প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন ওয়েলডন এপ। কানাডার কাউয়াটার ইন্টারন্যাশনাল-এর সঙ্গে অংশীদারিত্বে পরিচালিত এই প্রকল্প বাংলাদেশের নার্সিং শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করছে।
এই প্রকল্পে মন্ট্রিয়াল বিশ্ববিদ্যালয় এবং কানাডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব স্কুলস অব নার্সিং (সিএএসএন)-এর মতো প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে কর্মরত জনবলকে পেশাগতভাবে উন্নয়ন সাধনে সহায়তা করা হচ্ছে।
দুই দেশের জনগণের জন্য উপকার বয়ে আনবে—এমন টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাণিজ্য গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে কানাডা। বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে নতুন বাজার সম্ভাবনা উন্মোচন এবং উন্নয়ন ও বাণিজ্যিক সংযোগ আরও জোরদার করারও আগ্রহ প্রকাশ করেছে দেশটি।