শিরোনাম
ঢাকা, ১৯ জুন, ২০২৫ (বাসস) : এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) আজ বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতকে স্থিতিশীল ও সংস্কারের জন্য ৫০ কোটি মার্কিন ডলারের নীতি-ভিত্তিক ঋণ অনুমোদন করেছে, যার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদারকি, কর্পোরেট সুশাসন, সম্পদের মান এবং স্থিতিশীলতা জোরদার করা সম্ভব হবে।
এই ঋণের মাধ্যমে ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা ও সংস্কার কর্মসূচি, উপ-কর্মসূচি-১ ব্যাংকিং খাতের সুশাসন বৃদ্ধি, বাংলাদেশ ব্যাংকের তারল্য ব্যবস্থাপনা কাঠামোর কার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য অকার্যকর ঋণ সমাধানের জন্য তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য নীতিগত সংস্কারের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হবে।
এই কর্মসূচির আওতায় পদক্ষেপগুলো আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং নিয়মাবলি ধাপে ধাপে মেনে চলতে সহায়তা করবে এবং এর ফলে সম্পদের ঋণ ঝুঁকি মূল্যায়নের তথ্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।
এডিবির প্রধান আর্থিক খাত বিশেষজ্ঞ সঞ্জীব কৌশিক বলেন, ব্যাংকিং খাতে প্রধান বাধ্যতামূলক বাধাগুলোর মধ্যে রয়েছে মানসম্পন্ন সম্পদ মানের অভাব, তীব্র তারল্য সংকট এবং অপর্যাপ্ত আর্থিক মধ্যস্থতা, যার ফলে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির হার কম হয়।
তিনি আরো বলেন, এই কর্মসূচি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলা নিশ্চিত করার জন্য নিয়ন্ত্রকের ক্ষমতা বৃদ্ধি, ব্যাংকিং খাতের মূলধন বৃদ্ধি এবং ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের অর্থায়নের সুযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য মূল্য সংযোজন আনবে।
বাংলাদেশের কার্যকর আর্থিক মধ্যস্থতা প্রয়োজন, যা ব্যবসায়িক উদ্যোগগুলোকে ঋণ পেতে এবং ব্যক্তিদের ব্যাংকিং খাত থেকে আর্থিক পরিষেবা পেতে সহায়তা করতে পারে। ব্যাংকিং খাত ঐতিহ্যগতভাবে শিল্প খাত এবং ঋণগ্রহীতাদের উপর নজর দেয়ার কারণ জনসংখ্যার একটি বড় অংশ মূলত ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভরশীল। ডিজিটাল অবকাঠামোসহ ব্যাংকিং খাতকে শক্তিশালী করে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎস প্রদানে সহায়তা করবে এবং বৃহত্তর ও সাশ্রয়ী আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সক্ষম করতে সাহায্য করবে।
এডিবি একটি শীর্ষস্থানীয় বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংক যা এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিস্থাপক এবং টেকসই প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করে। জটিল চ্যালেঞ্জগুলো একসঙ্গে সমাধানের জন্য তার সদস্য এবং অংশীদারদের নিয়ে কাজ করে। ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এডিবি ৬৯ সদস্য দেশের মধ্যে ৫০টি এশিয়া অঞ্চলের দেশ।