ডারবান, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ (বাসস) : ইংল্যান্ড টেস্ট ক্রিকেট দলের কোচ হতে আগ্রহী দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার ও ২০১১ সালে বিশ^কাপ জয়ী ভারতের সাবেক কোচ গ্যারি কার্স্টেন।
২০১৯ সালেও ইংল্যান্ডের প্রধান কোচ হতে আবেদন করেছিলেন কাওর্স্টন। ট্রেভর বেলিসের জায়গায় কোচ হতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ক্রিস সিলভারউডকে দলের কোচিং দায়িত্ব দেয় ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
২০২১ সালে টেস্টে খুবই বাজে পারফরমেন্স ছিলো ইংল্যান্ডের। ১৫ টেস্ট খেলে মাত্র ৪টি জিতে। ৯টি টেস্ট হারে ইংলিশরা। এক বর্ষপঞ্জিকায় সবচেয়ে বেশি টেস্ট হারের লজ্জার রেকডর্ও গড়েছে ইংল্যান্ড। এমন রেকর্ড বিশ^ ক্রিকেট শুধুমাত্র বাংলাদেশেরই আছে।
টেস্টে ইংল্যান্ডের এমন পারফরমেন্সে বর্তমান কোচ ক্রিস সিলভারউডের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমন অবস্থাতেই ইংলিশদের টেস্ট দলের কোচের দায়িত্ব নিতে চান কার্স্টেন।
কার্স্টেন বলেন, ‘শুনুন, এটা (ইংল্যান্ডের কোচ) সবসময় আমার বিবেচনায় থাকে, কারণ এটি অনেক সম্মানের। এখন পর্যন্ত এই পথে আমি দু’বার হেটেছি এবং সব সময় আমি স্পষ্ট করেছি যে সব ফরম্যাটের দায়িত্ব আমি নিতে চাই না। যখন ক্রিকেট বোর্ডগুলো পৃথক-পৃথক ফরম্যাটের কোচিং নিয়ে ভাবে, তখন আমার বিবেচনায় থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি টেস্ট দলের সাথে কাজ করা বা ওয়ানডে দলের সাথে কাজ করা দারুণ। আমার মতে, ইংল্যান্ডের ওয়ানডে দল একেবারে সংগঠিত, এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা ওয়ানডে দল তারা। তবে টেস্ট দল এখন কিছুটা ধুকছে। কিন্তু এই মুর্হূতে টেস্ট দলের দায়িত্ব নিতে পারলে দারুণ হবে বলে, আমি মনে করি।’
কোচ হিসেবে কার্স্টেনের বড় সাফল্য রয়েছে। ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ^কাপ জয়ী ভারতের কোচ ছিলেন কারস্টেন। ২৮ বছর পর বিশ^কাপ জয়ের স্বাদ নেয় ভারত। এরপর ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত নিজ দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় দলের দায়িত্ব পালন করেন। তার অধীনে ২০১২ সালে টেস্ট র্যাংকিং তালিকায় শীর্ষে উঠেছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
২০১৩ সালের আগস্টে জাতীয় দলের কোচিং দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার পর, বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির কোচ হন কারস্টেন। আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, বিবিএলে হোবার্ট হারিকেন্সের দায়িত্ব নেন তিনি।