শিরোনাম
ঢাকা, ৭ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : বাঁ-হাতি পেসার মিচেল স্টার্ককে ফিরিয়ে এনে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। ওয়ানডে দলে জায়গা হারিয়েছেন ব্যাটার মার্নাস লাবুশেন।
ওয়ানডের পাশাপাশি ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও খেলবে অস্ট্রেলিয়া। ঐ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের জন্য ১৪ সদস্যের দল ঘোঘণা করেছে সিএ। টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন জশ ইংলিশ ও ন্যাথান এলিস।
কাজের চাপ বিবেচনায় গত বছরের নভেম্বর থেকে ওয়ানডে খেলেননি স্টার্ক। এরপর শ্রীলংকা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ও আইসিসি চ্যাািম্পয়ন্স ট্রফি মিস করেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে আবারও ওয়ানডে ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছেন গেল মাসে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়া স্টার্ক। ২০১০ সালে অভিষেকের
পর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১২৭ ম্যাচে ২৪৪ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
অফ ফর্মের কারণে দল থেকে বাদ পড়েছেন লাবুশেন। সর্বশেষ ১০ ইনিংসে কোন হাফ-সেঞ্চুরি নেই তার। লাবুশেনের জায়গায় ওয়ানডে দলে ফিরেছেন ডান-হাতি ব্যাটার ম্যাথু শর্ট। এ বছরের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে দলে সুযোগ পাননি ১৫ ওয়ানডেতে ২৮০ রান করা শর্ট।
প্রথমবারের মত ওয়ানডে দলে ডাক পেয়েছেন দুই ব্যাটার ম্যাট রেনশ ও মিচেল ওয়েন। তবে অসিদের হয়ে টেস্ট খেলার স্বাদ ইতোমধ্যে পেয়েছেন তিনি। ২০১৬ সালে টেস্ট অভিষেক হওয়া রেনশ ২৪ ম্যাচে ১টি সেঞ্চুরি ও ৩টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৬৪৫ রান করেছেন।
ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১০ টি-টোয়েন্টিতে ১৪৯ রান করেছেন ওয়েন। পাশাপাশি ২ উইকেটও নিয়েছেন তিনি।
এক সিরিজ পর অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ইংলিশ ও পেসার এলিস। গত আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেললেও সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সিরিজে বাদ পড়েন তারা। ৩৬ টি-টোয়েন্টিতে ইংলিশ ২টি করে সেঞ্চুরি ও হাফ-সেঞ্চুরিতে ৮৭৮ রান করেন। ২৭ ম্যাচে এলিসের ঝুলিতে আছে ৪১ উইকেট।
কব্জির ইনজুরি থেকে এখনও সুস্থ হতে পারেননি হার্ড-হিটার ব্যাটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। গত জুনে ওয়ানডে থেকে অবসর নেন তিনি।
ওয়ানডে দলে থাকলেও টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ পাননি অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিন। অ্যাশেজ সিরিজের প্রস্তুতির জন্য ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে শেফিল্ড শিল্ডে খেলবেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দল : মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), জ্যাভিয়ের বার্টলেট, অ্যালেক্স ক্যারি (উইকেটরক্ষক), কুপার কনোলি, বেন ডওয়ারশিষ, ন্যাথান এলিস, ক্যামেরন গ্রিন, জশ হ্যাজেলউড, ট্রাভিস হেড, জশ ইংলিশ (উইকেটরক্ষক), মিচেল ওয়েন, ম্যাট রেনশ, ম্যাথু শর্ট, মিচেল স্টার্ক ও অ্যাডাম জাম্পা।
অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি দল (প্রথম দুই ম্যাচ) : মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), শন অ্যাবোট, জ্যাভিয়ের বার্টলেট, টিম ডেভিড, বেন ডওয়ারশিষ, ন্যাথান এলিস, জশ হ্যাজেলউড, ট্রাভিস হেড, জশ ইংলিশ (উইকেটরক্ষক), ম্যাথু কুনেমান, মিচেল ওয়েন, ম্যাথু শর্ট, মার্কাস স্টয়নিস ও এডাম জ্যাম্পা।