শিরোনাম
ঢাকা, ৩ অক্টোবর ২০২৫ (বাসস) : এক ম্যাচ বাকী থাকতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আজ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ২ উইকেটে হারিয়েছে আফগানিস্তানকে। সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৪ উইকেটে জিতেছিল টাইগাররা।
ফলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল টাইগাররা। এর আগে ২০২৩ সালে দুই ম্যাচের ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল তারা।
এছাড়া টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে টানা চতুর্থ সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। সর্বশেষ তিন সিরিজে শ্রীলংকা, পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েছে টাইগাররা।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানকে ৪৭ বলে ৫৫ রানের সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার সেদিকুল্লাহ আতাল ও ইব্রাহিম জাদরান। পাওয়ার প্লেতে ৩৫ রান তুলেন তারা।
অষ্টম ওভারের পঞ্চম বলে আফগানিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন বাংলাদেশের স্পিনার রিশাদ হোসেন। ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৯ বলে ২৩ রান করে প্রথম ব্যাটার হিসেবে আউট হন আতাল।
১১তম ওভারে জাদরানকে শিকার করেন আরেক স্পিনার নাসুম আহমেদ। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৭ বলে ৩৮ রান করেন জাদরান।
৭১ রানের মধ্যে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর মিডল অর্ডারে দুই ব্যাটার বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। অভিষিক্ত ওয়াফিউল্লাহ তারাখিল ১ ও দারউইশ রাসুলি ১৪ রানে আউট হন। এক্ষেত্রেও দুই উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন রিশাদ ও নাসুম।
৯০ রানে চতুর্থ উইকেট পতনের পর জুটি বেঁধে আফগানিস্তানের রানের গতি বাড়ান রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও আজমতুল্লাহ ওমারজাই। পঞ্চম উইকেটে ১৭ বলে ২৮ রানের জুটি গড়েন তারা। ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ২২ বলে ৩০ রান করে বাংলাদেশ পেসার শরিফুল ইসলামের বলে বোল্ড হন গুরবাজ।
১৭তম ওভারে দলীয় ১১৮ রানে গুরবাজ ফেরার পর ইনিংসের শেষ ২২ বলে অবিচ্ছিন্ন ২৯ রান যোগ করে আফগানিস্তানকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন ওমারজাই ও মোহাম্মদ নবী। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় নবী ১২ বলে ২০ এবং ওমারজাই ১৭ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের নাসুম ২৫ রানে ও রিশাদ ৪৫ রানে ২টি করে এবং শরিফুল ১৩ রানে ১টি উইকেট নেন।
জবাব দিতে নেমে দলীয় ১৬ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। ২ রান করে আউট হন তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেন ইমন। সিরিজের প্রথম ম্যাচে উদ্বোধনী জুটিতে ৭১ বলে ১০৯ রান তুলেছিলেন তানজিদ ও ইমন।
১টি চার ও ২টি ছক্কায় শুরু করেও ১৪ বলে ১৮ রানের বেশি করতে পারেননি তিন নম্বরে নামা সাইফ হাসান। পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেটে ৩৭ রান তুলে বাংলাদেশ।
চতুর্থ উইকেটে ৩৭ বলে ৫৬ রান যোগ করে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরান অধিনায়ক জাকের আলি ও শামীম হোসেন। জাকের ২টি করে চার-ছক্কায় ২৫ বলে ৩২ এবং শামীম ৩টি বাউন্ডারি ও ২টি ওভার বাউন্ডারিতে ২২ বলে ৩৩ রান করেন।
দলীয় ১০২ রান পঞ্চম উইকেট পতনের পর বাংলাদেশকে লড়াইয়ে রাখেন নুরুল হাসান ও নাসুম আহমেদ। ষষ্ঠ উইকেটে ১৭ বলে ২০ রান যোগ করেন তারা। কিন্তু ৬ বল ও ৭ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারালে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। শেষ ২ ওভারে ১৯ রান দরকার পড়ে তাদের।
স্পিনার নূর আহমেদের করা ১৯তম ওভার থেকে ১৭ রান তুলে বাংলাদেশের জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান নুরুল ও শরিফুল। শেষ ওভারের প্রথম বলে ৪ মেরে বাংলাদেশের সিরিজ জয় নিশ্চিত করেন শরিফুল।
১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ২১ বলে অপরাজিত ৩১ রান করেন নুরুল। ২ বাউন্ডারিতে ৬ বলে অনবদ্য ১১ রান করেন শরিফুল। আফগানিস্তানের ওমারাজাই ২৩ রানে ৪ উইকেট নেন।
আগামী ৫ অক্টোবর সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান।