মেলবোর্ন, ২ ডিসেম্বর ২০২১ (বাসস) : অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের আয়োজকরা ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বিষয়ে নোভাক জকোভিচকে ব্ল্যাকমেইল করেছেন, এমন অভিযোগে সাফ অস্বীকার করেছেন আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
৩৪ বছর বয়সী জকোভিচ আগামী জানুয়ারি মাসে বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামে রেকর্ড ২১তম স্ল্যাম শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে কোর্টে নামবেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি মাথায় রেখে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ভ্যাকসিন ছাড়া কোন খেলোয়াড়ই এবারের আসরে অংশ নিতে পারবেনা । আর এতেই বিপাকে পড়েছেন জকোভিচ। কারন প্রথম থেকেই তিনি ভ্যাকসিন না নেবার পক্ষে নিজের অনড় অবস্থানে রয়েছেন। এ কারনে তার বাবা সারজান জকোভিচ সার্বিয়ান টেলিভিশনে এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন এমন হলে তার ছেলে হয়ত অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নাও খেলতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে তার ছেলেকে হয়তবা ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে।
এক সিনিয়র কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার কথা ভেবেই টিকা নেওয়ার বিষয়টি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
ভিক্টোরিয়ার ক্রীড়ামন্ত্রী মার্টিন পাকুলা বলেছেন, নয়বারের চ্যাম্পিয়ন জকোভিচকে দেখার জন্য অস্ট্রেলিয়ানরা সবসময়ই মুখিয়ে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। অন্যান্য সব মানুষের জন্য ভিক্টোরিয়া সরকারের কোভিড যে আইন রয়েছে তা খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এখানে ব্ল্যাকমেইলের প্রশ্নই আসেনা। এর অর্থ হচ্ছে ভিক্টোরিয়ার মানুষ যাতে নিরাপদে থাকে।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রধান ক্রেইগ টিলে গত মাসে জানিয়েছিলেন, বছরের এই প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া সব খেলোয়াড়কে টিকা নিতে হবে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। গত বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলোয়াড়দের বাধ্যতামূলক দুই সপ্তাহের জন্য হোটেল কোয়ারেন্টাইন করতে হয়েছিল। কিন্তু এবার সে ধরনের কোন বাধ্যবাধকতা থাকছে না। তবে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের ভয়াবহতার উপর পুরো পরিস্থিতি নির্ভর করছে।
আগামী বছর ১৭ জানুয়ারি থেকে মেলবোর্নে বছরের প্রথম এই গ্র্যান্ড স্ল্যাম শুরু হবার কথা রয়েছে।