শিরোনাম
ঢাকা, ৬ জুন, ২০২৫ (বাসস) : যুক্তরাষ্ট, কানাডা ও মেক্সিকো ইতিহাসের সর্ববৃহৎ বিশ্বকাপ শুরু হতে এক বছর সময় বাকি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন সরকারের অধীনে নানা রাজনৈতিক টানাপোড়েন সত্বেও ইতিহাসের পাতায় সফল হিসেবে নিজেদের প্রমানে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে তিনটি দেশই।
প্রথমবারের মত তিন দেশে যৌথভাবে আয়োজিত এই বিশ্বকাপে খেলবে ৪৮টি দেশ। স্বাভাবিক ভাবেই উত্তর আমেরিকান অঞ্চলে লাখ লাখ ভক্ত-সমর্থকের সমাগম হবে। আগামী বছর ১১ জুন থেকে শুরু হয়ে একমাস চলবে বিশ্বকাপ উত্তেজনা।
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হিসেবে ফুটবলের ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ। বিশ্বকাপের ২৩তম আসরের প্রস্তুতির দিকে তাকালে তাই মনে হতেই পারে আধুনিক ফুটবলে এই ধরনের আয়োজন এমন তিন দেশেই মানায়।
বেশ কিছু ভেন্যুর ইতোমধ্যেই প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মেক্সিকোর ঐতিহ্যবাহী এস্তাদিও আজটেকা। ছয় সপ্তাহের টুর্নামেন্টে ১০৪টি ম্যাচের জন্য লস এ্যাঞ্জেলসের ৫ বিলিয়নের সোফি স্টেডিয়ামকেও প্রস্তুত করে তোলা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশী ৭৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। কানাডা ও মেক্সিকোতে হবে ১৩টি করে। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে সবগুলো ম্যাচ হবে যুক্তরাষ্ট্রে। ১৯ জুলাই ৮২ হাজার ৫০০ ধারণক্ষমতা সম্পন্ন নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বহুল কাঙ্খিত বিশ্বকাপের ফাইনাল।
১৯৯৪ সালে সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়েছিল। ৩২ বছর পর আবারো আয়োজনের স্বত্ব ফিরে পেয়ে আয়োজকরা বিশ্বাস করছেন ইতিহাসের সব আয়োজনকে তারা ছাড়িয়ে যাবেন।
২০২২ সালে সর্বশেষ বিশ্বকাপে ৩২ দল থেকে বাড়িয়ে ৪৮টি করা হয়েছে। চারটি কলে দল ১২ গ্রুপে অংশ নিবে। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুটি করে দল খেলবে নক আউট পর্বে। আটটি সেরা তৃতীয় স্থান অর্জণকারী দল শেষ ৩২’এ যোগ দিবে।