বাসস
  ১৬ অক্টোবর ২০২১, ১৪:৫১
আপডেট  : ১৬ অক্টোবর ২০২১, ১৫:২৩

সফল আইপিএল আয়োজনের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত আবু ধাবি

দুবাই, ১৬ অক্টোবর ২০২১ (বাসস) : করোনার কারনে ভারত থেকে  সংযুক্ত আরব আমিরাতে মাটিতে  সরিয়ে নেয়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চতুর্দশ আসর সফলভাবে  শেষ হলো  গতকাল শুক্রবার রাতে। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সফলভাবে আয়োজনের লক্ষ্য এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি)। বিশ^কাপ আয়োজক ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড(বিসিসিআই)।  তবে  করোনার কারণে তা ভারতের পরিবর্তে  মরুরদেশে আয়োজনের সিদ্বান্ত নেয় বিসিসিআই ও ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি)। সফলভাবে  আইপিএল আয়োজনের পর এবার সংক্ষিপ্ত ভার্সনের  বিশ^কাপটি  সুন্দরভাবে শেষ করতে চায় ইসিব। যদিও সংযুক্ত আরব আমিরাতে  হবে  টুর্নামেন্টের মূল পর্ব।  বাছাই পর্ব  অনুষ্ঠিত হবে ওমানে।
এ বছরের ৯ এপ্রিল থেকে ভারতের মাটিতে শুরু হয়েছিলো আইপিএলের চর্তুদশ আসর। করোনার কারনে ২৯ ম্যাচ পর স্থগিত হয় আসরটি। আইপিএলের চর্তুদশ আসরকে ঘিরে ধরে অন্ধকার। শেষমেষ আসরের বাকী ৩১ ম্যাচ শেষ করতে মরুরদেশে পা রাখে বিসিসিআই।
১৯ সেপ্টেম্বর থেকে মরুর দেশে শুরু হয় আইপিএলের বাকী অংশ। শেষ পর্যন্ত সফলভাবে আইপিএলের বাকী অংশ শেষ করলো ইসিবি। গতকাল চেন্নাই সুপার কিংস ও কোলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচ দিয়ে শেষ হলো আইপিএল।
আইপিএলের সফল আয়োজন শেষে এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মত বড় আসর আয়োজনের চ্যালেঞ্জ ইসিবির সামনে।
আইপিএলে ভেন্যু আবু ধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেটে ব্যাটার-বোলারদের সাফল্য ছিলো চোখে পড়ার মত। এ মাঠে ব্যাটাররা রান করেছেন২৪৭৫।  বোলাররা  নিয়েছেন ৯১ উইকেট। মোট ১৫ হাজার ২শ সমর্থক নিরাপদে টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো দেখেছেন। ভেন্যুর ধারণক্ষমতা ছিলো ২ হাজার। আট ম্যাচেই ৯৫ শতাংশ সমর্থক গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলো।
টুর্নামেন্টের সাথে জড়িত সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, প্রতিটি খেলার জন্য ৫০ টিরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক এবং মার্শাল ছিলো। সেইসাথে আবু ধাবি পুলিশের ৫০ জন সদস্য এবং আরও ৪৭ জন আবুধাবি ক্রিকেট স্টাফ সদস্য ছিলেন।
আবু ধাবিকে নিজেদের হোম গ্রাউন্ড বানিয়ে ফেলেছিলো কোলকাতা নাইট রাইডার্স এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এই ভেন্যুতে ১৫০ ঘণ্টারও বেশি অনুশীলন সেশন করেছিল কোলকাতা ও মুম্বাই।
আবু ধাবির সুযোগ সুবিধার প্রশংসা করেন কোলকাতার উইকেটরক্ষক-ব্যাটার দীনেশ কার্তিক। তিনি বলেন, ‘প্রধান মাঠ হিসেবে আবু ধাবি ক্রিকেট কোন ক্ষেত্রেই পিছিয়ে নেই। দু’টি ছোট মাঠ এবং আরেকটি মাঠ যেখানে উইকেট রয়েছে এবং পূর্ণ রান আপে বল করতে পারে বোলাররা। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, এটি বিশ্বের সেরা ভেন্যুগুলোর একটি হতে যাচ্ছে।’
কোচ অস্কার নওহাউসের সুপারিশের পর কোলকাতা নাইট রাইডার্সের অনুশীলনে আনা হয় জায়েদ ক্রিকেট একাডেমির ২১ বছর বয়সী রাইস আয়ান এবং ১৮ বছর বয়সী সেলিস জয়শঙ্করকে। তারা ফ্র্যাঞ্চাইজির দলে নেট বোলার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কোলকাতাকে নকআউট পর্বে পৌঁছাতে সাহায্য করে তারা।
আবু ধাবি ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহি ম্যাট বাউচার বলেন, ‘আবুধাবিতে আটটি ভিভো আইপিএল ম্যাচ ছিল  অবিশ্বাস্য  এবং জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আমাদের ক্রিকেট ভক্তদের ফিরতে দেখাটাও ছিল  অসাধারণ । আইসিসি পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সফলভাবে আয়োজনের বদ্ধপরিকর আবুধাবি ক্রিকেট।’
বাছাই পর্ব দিয়ে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। দিনের প্রথম ম্যাচে লড়বে স্বাগতিক ওমান ও পাপুয়া নিউ গিনি। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও স্কটল্যান্ড। দু’টি ম্যাচই হবে ওমানের আল আমেরাত স্টেডিয়ামে।
তবে ১৮ অক্টোবর থেকে আবু ধাবির বিশ্বকাপ শুরু হবে। জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাছাই পর্বে দিনের প্রথম ম্যাচে খেলবে আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ড এবং দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে লড়বে নামিবিয়ান ও শ্রীলংকা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়