বাসস
  ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:২০

নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে ৫৭ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল 

নারায়ণগঞ্জ, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ (বাসস) : আনন্দ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সাবেক প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ আলীসহ ৫৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক রায়হান কবির বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে সোমবার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেন।

তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে ৮ জন, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে ১০ জন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে ১১ জন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ১৫ জন এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের পাশাপাশি একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থীও মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দুলাল হোসেন, জামায়াতে ইসলামীর মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশের মো. রেহান আফজাল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. ইমদাদুল্লাহ, সিপিবির মো. মনিরুজ্জামান চন্দন, গণঅধিকার পরিষদের ওয়াসিম উদ্দিন এবং স্বতন্ত্র মো. হামিদুল হক খোকন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়নপত্র জমা দেন। স্বতন্ত্র হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য আতাউর রহমান আঙ্গুর নির্বাচন করছেন। এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামীর মো. ইলিয়াস মোল্লা, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা মো. হাবিবুল্লাহ এবং কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি হাফিজুল ইসলাম মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। স্বতন্ত্র হিসেবে বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম এবং সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

এছাড়াও জামায়াতে ইসলামীর ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া, ইসলামী আন্দোলনের গোলাম মসীহ, গণঅধিকার পরিষদের মো. ওয়াহিদুর রহমান মিল্কী, খেলাফত মজলিসের মুহা. শাহজাহান, জনতার দলের আব্দুল করীম মুন্সী, গণসংহতি আন্দোলনের অঞ্জন দাস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সী এবং এবি পার্টির আরিফুল ইসলাম মনোনয়নপত্র জমা দেন।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থী হিসেবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মনির হোসাইন কাসেমী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র হিসেবে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ শাহ আলম, ব্যবসায়িদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সাবেক প্রথম সহসভাপতি ও  সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী এবং সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এছাড়াও এ আসনে এনসিপির আব্দুল্লাহ আল আমিন, বাসদের সেলিম মাহমুদ, সিপিবির ইকবাল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি ইসমাইল কাউসার, গণঅধিকার পরিষদের মো. আরিফ ভূঁইয়া এবং খেলাফত মজলিসের আনোয়ার হোসেন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ।

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এছাড়া গণসংহতি আন্দোলনের তরিকুল ইসলাম সুজন, সিপিবির মন্টু ঘোষ, বাসদের আবু নাঈম খান বিপ্লব, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি মাসুম বিল্লাহ, খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মহানগর বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এবং বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ী আবু জাফর আহমেদ বাবুলও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক রায়হান কবির জানান, নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনে মোট ৯১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। এর মধ্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৫৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।