শিরোনাম

ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামী নির্বাচনে জনগণের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়াই বিএনরি লক্ষ্য।
তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই দেশে আবারো গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। আন্দোলন সংগ্রাম এখনো শেষ হয়ে যায়নি। নির্বাচনে জয়লাভের মধ্য দিয়েই দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশিত বিজয় অর্জন করতে হবে। জনগণের কাছে দায়বদ্ধ ও জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা। ইনশাআল্লাহ আগামী ফ্রেব্রুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে বিএনপি সক্ষম হবে।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা বিভিন্ন সংকটের কার্যকর সমাধান শুধু জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই দিতে পারে। তাই রাজনৈতিক পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি। জনগণের প্রধান চাহিদা হলো- গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা এবং উৎসবমুখরভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ।
বিএনপি ও দেশের মানুষের জন্য আসন্ন নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সামাজিক সংস্কৃতিক অধিকার সুনিশ্চিত করার জন্যই আমাদের আজকের এই লড়াই। আগামী নির্বাচন অত্যান্ত গুরত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনে অন্তর্ভুক্তি মূলক জাতি গড়তে পারবো কিনা সেই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে নিতে হবে।
বিএনপি দেশে একটি নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে চায় উল্লেখ করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, বিএনপির জাতীয়তাবাদী চিন্তাভাবনা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা এ দেশটাকে একটি শান্তির নীড় হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য সহনশীলতা থাকতে হবে। একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা থাকতে হবে। দ্বিমত পোষণ করলেও সম্মান থাকতে হবে। আগামী দিনের যে মুক্তির সংগ্রাম সেটা শুধু রাজনৈতিক মুক্তি নয়, মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং সামাজিক অধিকার, ভোটের অধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাও এর লক্ষ্য। তাই দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে বাংলাদেশের উন্নয়নের ফসল পৌঁছে দেয়ার যে রাজনীতি সেটার জন্য আমরা প্রস্তুত। আগামী দিনে মানুষের প্রত্যাশিত যে বাংলাদেশ, সেটা তারেক রহমানের নেতৃেত্ব আমরা করতে পারবো বলে প্রত্যাশা করি।
খসরু বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে প্রায় ১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী গুম, খুন-হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তারা জেলে গিয়েছে, গুম-খুনের শিকার হয়েছে। চাকরি, বাড়িঘর সব হারিয়ে পঙ্গু হয়েছে। তাদের নিদারুণ ত্যাগের মাধ্যমে আজকে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করার সুযোগ এসেছে।