শিরোনাম

ঢাকা, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশে প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ তামাক। বছরে ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ তামাকজনিত কারণে অকালে প্রাণ হারান। এই অকাল মৃত্যু প্রতিরোধে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করা দরকার।
আজ সোমবার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি এক যৌথ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানায়।
অকাল মৃত্যু রোধ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত সংশোধনের দাবি জানিয়ে তারা বলেছে, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন অবিলম্বে শক্তিশালী করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর ৭১ শতাংশ ঘটছে অসংক্রামক রোগে, যার অন্যতম কারণ তামাক ব্যবহার। তামাকের কারণে হৃদরোগ, ক্যান্সার ও দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসতন্ত্রের রোগ বাড়ছে।
সংগঠনগুলো জানায়, বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়ার পর থেকেই তামাক কোম্পানিগুলো বিভ্রান্তি ছড়িয়ে তাদের বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষায় সক্রিয় হয়েছে। কিন্তু জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় আইনকে শক্তিশালী করা ছাড়া বিকল্প নেই। আইন যত শক্তিশালী হবে, তামাকজনিত অকাল মৃত্যু তত কমবে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ হ্রাস পাবে এবং জাতীয় অর্থনীতি সুরক্ষিত থাকবে।
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, তামাক শ্বাসযন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, ক্যান্সার ও যক্ষ্মার ঝুঁকি বাড়ায়। পাশাপাশি তামাক কোম্পানিগুলো যুবসমাজকে লক্ষ্য করে আগ্রাসীভাবে বিপণন করছে। ধূমপানমুক্ত জনপরিবেশ নিশ্চিত করা, সব ধরনের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা এবং ভেপ বা ই-সিগারেটে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ ছাড়া আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করা সম্ভব নয়।
বিবৃতিতে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক এবং বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশনের মহাসচিব ডা. আসিফ মুজতবা মাহমুদ স্বাক্ষর করেন।