ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) শ্রমিক অসন্তোষের জেরে ৮ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও খুলেছে প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের ৮টি কারখানা। কারখানাগুলো পুনরায় সচল হওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন মালিক শ্রমিকসহ এর সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এসব কারখানার ৩৫ হাজার শ্রমিক কাজে যোগ দেন।

গ্রুপের ব্যবস্থাপনা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রায় ৩৫ হাজার শ্রমিক ও চার হাজারের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজে যোগ দেন। এরফলে দীর্ঘদিনের নীরবতা কাটিয়ে আবারও কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে ইপিজেড এলাকায়।

প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ তানভীর হোসেন জানান, বর্তমানে সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কাজের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হওয়ায় কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি শ্রমিকদের শৃঙ্খলা, পেশাদারত্ব ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানান।

এই বিষয়ে চট্টগ্রাম শিল্প-৩ পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, প্যাসিফিকের ৮টি কারখানায় আজ সকাল থেকে শ্রমিকরা নির্বিঘ্নে কাজ শুরু করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রুটিন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি বলেন, প্যাসিফিক জিন্স দেশের একটি বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান। এখানে অস্থিরতা দেখা দিলে তা শুধু ইপিজেড নয়, পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। এর সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, শিপমেন্ট, পোশাক শিল্পের ভাবমূর্তি ও কর্মসংস্থানসহ নানা বিষয় জড়িত। তাই আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি দ্রুততম সময়ে কারখানাগুলো যেন খোলার ব্যবস্থা করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৪ ও ১৫ অক্টোবর প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। ১৬ অক্টোবর শ্রমিকদের সঙ্গে কর্মকর্তাদের সংঘর্ষের পর মালিকপক্ষ আটটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন। বর্তমানে সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি এবং অনুকূল পরিবেশ সৃস্টি হওয়ায় ২৩ অক্টোবর থেকে কারখানা পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বন্ধ ঘোষিত কারখানাগুলো হলো-প্যাসিফিক জিন্স-১, প্যাসিফিক জিন্স-২, প্যাসিফিক অ্যাটায়ারস, প্যাসিফিক অ্যাক্সেসরিজ, প্যাসিফিক ওয়ার্কওয়্যারস, ইউনিভার্সেল জিন্স, এইচটি ফ্যাশন ও জিন্স-২০০০।