শিরোনাম
ঢাকা, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নাশকতা হিসেবে সন্দেহ করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি)।
রুহুল কবির রিজভী আজ রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ সন্দেহ প্রকাশ করেন।
জাতি গভীর শঙ্কায় রয়েছে উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘পরপর এত বড় অগ্নিকাণ্ড কীভাবে সম্ভব? এটা কি কেবল দুর্ঘটনা, নাকি এর পেছনে রয়েছে কোনও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র?’
রিজভী বলেন, ‘একের পর এক এই আগুন লাগার ঘটনাগুলো কেবল কাকতালীয় নয়, এগুলো জাতিকে ভাবিয়ে তুলছে। এটি কি নাশকতার অংশ নয়?’
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা অভিযোগ করেন, ‘দেশে স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য একটি মহল সচেষ্ট এবং ভারত সেই চেষ্টাকে বিভিন্ন সময়ে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করে এসেছে। ভারত চায় না বাংলাদেশে একটি স্থিতিশীল পরিস্থিতি বজায় থাকুক, বাংলাদেশে একটি স্থিতিশীল সরকার আসুক তাদের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে কখনও এটি তারা প্রমাণ করতে পারেনি। তারা বরাবরই শেখ হাসিনার মত অবৈধ সরকারকে সমর্থন দিয়ে এসেছে।’
২০১৪ সালের নির্বাচনে কোনও বড় রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি উল্লেখ করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘অথচ ভারতের কূটনীতিকেরা এরশাদকে সেই নির্বাচনে অংশ নিতে কনভিন্স করতে এসেছিলেন, এটা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ।’
সরকারের নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করে রিজভী বলেন, ‘সরকার আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নস্যাৎ করার চেষ্টা চলছে, পরপর আগুন লাগার এই ঘটনাগুলো কি শুধুই দুর্ঘটনা, নাকি পরিকল্পিত কোনও ষড়যন্ত্র—তা খতিয়ে দেখা দরকার।’
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা বিষয়ে রিজভী বলেন, ‘বেগম জিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিতে বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনা হচ্ছে। তিনি যদি সুস্থ থাকেন, তাহলে নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নেবেন।’
জুলাই সনদকে ‘মেঘনা কার্টা’ হিসেবে প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ফ্যাসিবাদ বিরোধী সব রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ডেমোক্রেসির জায়গায় যদি মবক্রেসি হয়, তাহলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফৎ আলী সপু প্রমুখ।