শিরোনাম
ঢাকা, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদীন ফারুক বলেছেন, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করা সকল রাজনৈতিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে 'পবিত্র কোরআন অবমাননা ও জাতীয় নির্বাচন' নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এক সমাবেশে তিনি আজ এ কথা বলেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আমি চাই না এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে ‘আমার ভোট আমি দেব’ এই মৌলিক অধিকারটি প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যতদিন ভারতীয় সমর্থনের ওপর নির্ভর করে রাজনীতি করবেন, দেশের গণতন্ত্র হত্যা করবেন, দেশের জনগণকে হত্যা করবে। আর দেশে ফিরতে চাইবে। এমন কোনো শক্তি নেই যা তাকে আবার বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে পারবে। শেখ হাসিনা মোদির আশ্রয়ে আবার দেশে ফিরে এসে ফ্যাসিস্ট শাসন প্রতিষ্ঠা করুক। তা কখনোই হতে দেওয়া হবে না।
জয়নুল আবেদীন ফারুক অভিযোগ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন ভারতের হাতের ক্রীড়নক হয়ে পড়েছে। তারা বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থ নয় বরং পার্শ্ববর্তী দেশের স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত। তিস্তা নদীতে আমরা পানি পাই না, ফারাক্কা বাঁধ সময়মতো খোলে না, ফেলানির লাশ সীমান্তে ঝুলে থাকে তারপরও তারা বলে, মোদি আমাদের বন্ধু! মোদি কখনো বাংলাদেশের বন্ধু হতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, ৭১ সালের যুদ্ধের সময় আমাদের স্বাধীনতার জন্য যারা লড়েছিলেন, আজ তাদের অনেককেই রাজাকার বলা হচ্ছে। মেজর জলিল, সিরাজ শিকদার এরা দেশের জন্য জীবনবাজি রেখে কাজ করেছেন। অথচ আজ তাদের নাম বিকৃত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, শেখ মুজিব স্বাধীনতার পর জনগণকে শান্তিতে থাকতে দেননি। সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। হেলিকপ্টারে করে ভোটের বাক্স এনে রেজাল্ট পরিবর্তন করা হতো। আজ শেখ হাসিনা সেই একই পথ অনুসরণ করছেন ‘বাবা বাবা’ বলে সারা দেশে মূর্তি গড়ে তুলেছেন, অথচ মানুষের অধিকার হরণ করেছেন।
জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে ফারুক বলেন, এখন আর বিভক্ত থাকার সময় নয়। একসঙ্গে দাঁড়ান। যারা শেখ হাসিনার স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়ছে, তারা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়, ইনশাআল্লাহ হাসিনা আর কখনো ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না। আমার ভোট আমি দেব, মৃত মানুষ আর কখনো ভোট দেবে না। আসুন, সবাই মিলে মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিই।
অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মোহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে জয়নুল বলেন, ‘প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য আমি শুনেছি, আমি তার জন্য দোয়া করি, আপনার কথাটা ঠিক থাকে ফেব্রুয়ারি মাসে যেন নির্বাচন হয়।’
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, সহধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এটিএম আব্দুল বারী ড্যানি, ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা কাজী আলমগীর হোসেন, মাওলানা ক্বারী গোলাম মোস্তফাসহ সংগঠনটি বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।