বাসস
  ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০

মা ইলিশ সংরক্ষায় ৩৮ জেলার ১৭৮ উপজেলায় অভিযান: আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ ও টেকসই আহরণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ দেশব্যাপী চলমান রয়েছে।

এ বিশেষ অভিযান ৪ অক্টোবর হতে ২৫ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত ২২ দিনব্যাপী দেশের উপকূলীয় নদ-নদী, মোহনা ও সাগরসহ ৩৮ জেলার ১৭৮টি উপজেলায় পরিচালিত হচ্ছে।

এই সময়কালে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, নিষিদ্ধ জাল ও ইলিশ জব্দ, জরিমানা এবং আইনি পদক্ষেপ গ্রহণসহ ব্যাপক তৎপরতা চালানো হচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার  পর্যন্ত ৫০৮৫ টি অভিযান ও ১১৭৫ টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১৩০১টি মামলা দায়ের করা হয় এবং আইন ভঙ্গের অপরাধে ১০৪৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান এবং ৪২.৪৩ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। 

এছাড়া ৪২৮.৪৭ লক্ষ মিটার জাল ও ৫৭.১ মেট্রিক টন ইলিশ জব্দ করা হয়েছে, জব্দকৃত ইলিশ এতিমখানতে বিতরণ করা হয়েছে। নিষিদ্ধ জালগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে এবং নৌকা ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি নিলামে বিক্রয়ের মাধ্যমে ৩১.১২৮ লক্ষ টাকা সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান করা হয়েছে।

প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও মা ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জেলেদের জন্য ৩৮ জেলার ১৬৫টি উপজেলার ৬,২০,১৪০ জন জেলেকে ২৫ কেজি হারে ১৫,৫০৩ মে. টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে এবং ১৫৪০০.৮৫ মে. টন (৯৯.৩৪%) চাল ইতোমধ্যে বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে।

অভিযান চলাকালে মেহেন্দিগঞ্জ, হিজলা, ভেদরগঞ্জ উপজেলায় একজন সহকারী কমিশনার (ভূমি)সহ মৎস্য অধিদপ্তরের দুইজন কর্মকর্তা, নৌ পুলিশের একজন সাব-ইন্সপেক্টর, তিনজন কনস্টেবল সহ মোট নয় জন সদস্য আহত হন। "ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার"-এর আওতায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ পরিচালনা করছে। 

ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর, কোম্পানীগঞ্জ, রায়পুর, হিজলা, শিবচর ও শ্রীনগর উপজেলায় সেনাবাহিনীর সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। গভীর সমুদ্রে দেশি-বিদেশি অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে যুদ্ধজাহাজ ও মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট দিয়ে সার্বক্ষণিক নজরদারি চালানো হচ্ছে। 

এছাড়া আকাশপথে ইলিশ অধ্যুষিত জেলাসমূহের নদীসমূহে নজরদারির জন্য এ পর্যন্ত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ৩টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। আগামী ২৫ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।