বাসস
  ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩:১৩

দুর্গাপূজা পূজায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি মোতায়েন

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা নিরাপদ ও নির্বিঘ্নভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত টানা নয় দিন সারাদেশের ৩৩ হাজারের বেশি পূজামণ্ডপে দুই লক্ষাধিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে ।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সদর দপ্তর থেকে শুরু করে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী, ব্যাটালিয়ন আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। দায়িত্ব পালনে সতর্কতা, আন্তরিকতা ও জনগণবান্ধব মনোভাবের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাহিনীর চলমান সংস্কার কার্যক্রমের আওতায় প্রায় দুই লক্ষ তরুণকে গণপ্রতিরক্ষার নতুন ধারায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নব সংযোজিত এভিএমআইএস  সফটওয়্যার এর মাধ্যমে সকল সদস্যের নিবন্ধন ও হালনাগাদ তথ্য যাচাই করে পূজার নিরাপত্তা দায়িত্ব নির্ধারণ করা হচ্ছে। পূজামণ্ডপে গুজব প্রতিরোধ ও তাৎক্ষণিক ঘটনাপ্রবাহ মোকাবেলার লক্ষ্যে ইনসিয়েন্ট রিপোর্ট ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে, যা নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও দৃঢ় করেছে।

এছাড়াও জেলা কমান্ড্যান্ট ও উপজেলা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তারা মাঠে থেকে সরাসরি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করছেন এবং পূজা উদযাপন কমিটির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছেন।

এবারের দুর্গাপূজায় পূজামণ্ডপগুলোকে নিরাপত্তা ঝুঁকির ভিত্তিতে তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ৭হাজার৫৪টি পূজামণ্ডপে আটজন করে, গুরুত্বপূর্ণ ১০হাজার ৯৭২টি পূজামণ্ডপে ছয়জন করে এবং সাধারণ ১৩ হাজার ৫৫০টি পূজামণ্ডপে ছয়জন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা ২৪ ঘণ্টা শিফট অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়া দেশের ৬৪ জেলায় ৯২টি ব্যাটালিয়ন আনসার স্ট্রাইকিং ফোর্স টিম মোতায়েন করা হয়েছে, যারা নিয়মিত টহল পরিচালনার পাশাপাশি যেকোনো আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত আছে।

এই নিরাপত্তা কার্যক্রমকে আরও কার্যকর ও প্রযুক্তিনির্ভর করতে চালু করা হয়েছে শারদীয় সুরক্ষা অ্যাপস'। এর মাধ্যমে মোতায়েনকৃত সদস্যরা দুর্ঘটনা, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে রিপোর্ট করছেন এবং এসব তথ্য অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ভাগাভাগি করা হচ্ছে।