ঢাকা, ২৭ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পৃথক তিনটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা ওয়াসার দাশেরকান্দি পয়োবর্জ্য শোধনাগার প্রকল্প, খাগড়াছড়ি জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

ঢাকা ওয়াসায় পরিচালিত অভিযানে দাশেরকান্দি পয়োবর্জ্য শোধনাগার প্রকল্পের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়। এসময় প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলে দুদক টিম তথ্য সংগ্রহ করে এবং পরিকল্পনা পর্যায়ের কিছু নথি জব্দ করে। অবশিষ্ট তথ্যের জন্য চাহিদাপত্র প্রদান করা হয়েছে। 

খাগড়াছড়ি জেলায় পরিচালিত অভিযানে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লাগামহীন দুর্নীতির অভিযোগ যাচাই করা হয়। দুদক টিম খাগড়াছড়ি সদর ও পানছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে বরাদ্দসংক্রান্ত বিভিন্ন নথি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এবং জেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দকৃত হারিয়ে যাওয়া রাইস হারভেস্টার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। এসময় জেলা পরিষদ ও জেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় থেকেও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংগ্রহ করা হয়। প্রাথমিক পর্যালোচনায় অভিযোগের আংশিক সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট উপ-পরিচালককে অবশিষ্ট তথ্যের জন্য চাহিদাপত্র প্রদান করা হয়।

অন্যদিকে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিচালিত অভিযানে চিকিৎসাসেবায় অনিয়ম ও হয়রানির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। দুদক টিম দেখতে পায়, ভর্তিকৃত রোগীদের খাবার সরবরাহে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা রয়েছে, হাসপাতাল অপরিচ্ছন্ন এবং আউটসোর্সিং কর্মীদের সঠিকভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে না। পর্যাপ্ত সরকারি ওষুধ মজুদ থাকলেও রোগীদের বাহির থেকে কিনতে বাধ্য করা হয়। এমনকি এক্সরে মেশিন সচল থাকা সত্ত্বেও রোগীদের বাইরে পাঠানো হয়। টিম আরও জানতে পারে, হাসপাতালের অনুমোদিত ৩০ জন ডাক্তারের স্থলে মাত্র ৫ জন কর্মরত আছেন, ফলে রোগীরা সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া অ্যাম্বুলেন্সের জ্বালানি ব্যবহারে গরমিলও পাওয়া গেছে।

দুদক জানিয়েছে, প্রতিটি অভিযানে সংগৃহীত তথ্য-প্রমাণ পর্যালোচনা শেষে কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।