বাসস
  ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১৫:২০

ডাকসু নির্বাচনে ৮ কেন্দ্রে তিন স্তরের নিরাপত্তা, হলে বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ

মঙ্গলবার সিনেট ভবনে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫- এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। ছবি: বাসস

ঢাকা, ২৬ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫ উপলক্ষ্যে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

নির্বাচনের দিন (৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি ভোটকেন্দ্রে তিন স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে এবং হলে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।

আজ মঙ্গলবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ডাকসু ও হল পর্যায়ের সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থীদের সঙ্গে চীফ রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চীফ রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী, অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা, অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. এস এম শামীম রেজা, অধ্যাপক ড. তারিক মনজুর, সহযোগী অধ্যাপক শারমীন কবীরসহ হলগুলোর অন্যান্য রিটার্নিং কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বরাতে জানানো হয়, নির্বাচনের দিন নিরাপত্তার প্রথম স্তরে থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি সদস্য ও প্রক্টরিয়াল টিম, দ্বিতীয় স্তরে পুলিশ বাহিনী এবং তৃতীয় স্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি প্রবেশমুখে সেনাবাহিনী ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে মোতায়েন থাকবে। প্রয়োজন অনুযায়ী সেনাবাহিনী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবে এবং ভোট শেষে ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র ঘেরাও করে রাখবে। ভোট গণনার সময় অনুমোদিত ব্যক্তিদের বাইরে অন্য কারও প্রবেশের সুযোগ থাকবে না।

এ ছাড়া নির্বাচনের সাত দিন আগে থেকে আবাসিক হলে কোনো বহিরাগত থাকতে পারবে না। নিয়মিত টহলের মাধ্যমে এ ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে। তবে ছাত্রীদের হলে বহিরাগতদের কখনোই থাকার সুযোগ নেই। নির্বাচনের আগের দিন (৮ সেপ্টেম্বর) ও নির্বাচনের দিন (৯ সেপ্টেম্বর) মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন বন্ধ থাকবে। ওই দিন পুরো ক্যাম্পাস সিলগালা থাকবে এবং শুধুমাত্র বৈধ শিক্ষার্থী, অনুমোদিত সাংবাদিক ও নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাই প্রবেশ করতে পারবেন।

ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ভোটদানের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন রুটে অতিরিক্ত বাস ট্রিপের ব্যবস্থা করবে। এসব বাস নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে। সভায় উপস্থিত সব প্রার্থী নিরাপত্তা সংক্রান্ত এসব সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং কেউ কোনো আপত্তি তোলেননি।