শিরোনাম
ঢাকা, ১১ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।
এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিজা খাতুন, সৈকত রায়হান ও হাছিবুর রহমান। অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা এই অভিযানের মূল লক্ষ্য।
রোববার ম্যাজিস্ট্রেট মনিজা খাতুনের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালিত হয়।
এই অভিযানে মেসার্স বন্ধন স্টিল ওয়ার্কস এবং হাবিবা বেকারির মতো শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে অবৈধ গ্যাস সংযোগ পাওয়া গেলে, তা বিচ্ছিন্ন করে উৎসমুখে ‘কিলিং’ করা হয়।
এই দুই প্রতিষ্ঠান মাসিক যথাক্রমে প্রায় ১৪ লক্ষ ৪ হাজার ৮৩০ টাকা ও ৬৪ হাজার ৬৭১ টাকার সমপরিমাণ গ্যাস অবৈধভাবে ব্যবহার করছিল।
এছাড়া, ফতুল্লায় ১৩টি ডাবল বার্নারের অবৈধ আবাসিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
একই সময়ে, ম্যাজিস্ট্রেট হাছিবুর রহমানের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের আতলাসপুর ও আধুরিয়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
প্রায় ৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবৈধভাবে স্থাপিত গ্যাস বিতরণ লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে প্রায় ২২০টি বাড়িতে অবৈধ চুলার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এই অভিযানে ৭০০ ফুটের বেশি অবৈধ পাইপলাইন অপসারণ করা হয়।
অন্যদিকে, ম্যাজিস্ট্রেট সৈকত রায়হানের নেতৃত্বে গাজীপুরের জয়দেবপুর ও হাতিয়াব এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
এই অভিযানে মেসার্স ভারগো টোবাকোসহ কয়েকটি শিল্প ও আবাসিক স্থাপনায় অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারণে মোট ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এই অভিযানে শিল্প, ক্যাপটিভ ও আবাসিক শ্রেণিতে মোট ১৬,০৪০ ঘনফুট/ঘণ্টা অবৈধ গ্যাস লোড বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এবং ৬০০ ফুটের বেশি অবৈধ পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৈধ ও নিরাপদ গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার এই অভিযান নিয়মিতভাবে চলমান থাকবে।