শিরোনাম
ঢাকা, ১০ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস): জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, সংস্কারের ভিত্তিতেই নির্বাচন হতে হবে। আমাদের দাবি খুবই স্পষ্ট, আমরা অবশ্যই নির্বাচন চাই। নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করতে চাই। কিন্তু নির্বাচন ফ্রি ফেয়ার, ক্রেডিবল ও পার্টিসিপেটরি হতে হবে।
আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা বলেন ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
তিনি বলেন, ‘আমরা আজকে সিইসিকে বলেছি যে নির্বাচনের পূর্বশর্ত হচ্ছে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। খেলার মাঠটা সমান হতে হবে। কারণটা উঁচা-নিচা, এটা হবে না। সিইসি ভালো নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উপরে এখনও আস্থা রাখতে চাই। আইন শৃঙ্খলার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ডা. তাহের বলেন, আমাদের কনসার্ন যেটা সেটা আমরা পেশ করছি যে এখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো সুষ্ঠ নির্বাচনের পর্যায়ে পৌঁছায়নি।
নিজের সংসদীয় এলাকার বিষয়ে সিইসির সঙ্গে দেখার করার পর দলীয় অবস্থান তুলে ধরেন ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি জামাতে ইসলামী সবসময় নির্বাচনের পক্ষে। ফেব্রুয়ারি মাসে যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে সেই তারিখের ব্যাপারে জামাতের মৌলিক কোন আপত্তি নেই। কারণ আমরা আগে থেকেই বলছিলাম যে নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে, এপ্রিলে হইতে পারে। সুতরাং ফেব্রুয়ারি ফার্স্ট উইকে নির্বাচন হবে। এখানে আমাদের কোন আপত্তি নেই। জামাতে ইসলামী সেই নির্বাচনের তারিখকে আমরা ওয়েলকাম করেছি। আমরা ইতিবাচক বলেছি।
তিনি বলেন, ‘অতীতে গণতান্ত্রিক সরকার দলসহ অংশীজনের সাথে মিলেই একটা পরিবেশে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। এবার অন্তর্বর্তী সরকার আগে একটু আলাপ আলোচনা করলে সেটা সকলের জন্য একটা নিজস্বতার বহিঃপ্রকাশের সুযোগ ছিল। নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে বড় বিষয়টি হচ্ছে একটা ক্রেডিবল ফ্রি ফেয়ার পার্টিসিপেটরি ইলেকশন। এটাই গণতন্ত্রের দাবি। এদেশের মানুষের দাবি।’
ডা. তাহের বলেন, ‘নির্বাচনের আগেই আরো দুটো কাজ সারতে হবে। একটা হচ্ছে বিচারকে দৃশ্যমান করতে হবে। সিম্বলিক করতে হবে। সংস্কারের কাজ এগিয়ে নিতে ঐকমত্য কমিশনে ইতোমধ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে বসেছে। সেজন্যে ঐকমত্য কমিশনের যে সুপারিশলোকে আইনি ভিত্তি দেয়া, বাস্তবায়ন করা এবং সে ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন হতে হবে।’
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের দাবি হচ্ছে পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উচ্চ কক্ষ ও নিম্ন কক্ষে নির্বাচন হতে হবে। এই ইস্যুতে আমরা আন্দোলন করব। কারণ ৫৪ বছরের ট্রেডিশনাল নির্বাচনের পদ্ধতিতে আমরা দেখেছি যে, এখানে ফেয়ার ইলেকশন কখনো নিশ্চিত করা যায়নি। সুতরাং এই দীর্ঘ সময়ের ব্যর্থতার প্রেক্ষিতে আমরা একটা নতুন এক্সপেরিমেন্ট করতে চাই।