শিরোনাম
ঢাকা, ১০ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : যৌতুকের ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে গৃহবধূ ডালিয়া বেগমকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় স্বামী টিটুর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল।
আজ রোববার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
অপরদিকে টিটুর মা আমেনা বেগম ও তার ভাই শাহ আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেন আদালত।
যৌতুকের ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে ডালিয়া বেগমকে হত্যার অভিযোগে নিহতের বাবা মো. রোস্তম আলী ২০০২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ডালিয়া বেগমের সঙ্গে ১৯৯৭ সালের আসামি টিটুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে টিটুসহ তার পরিবারের অন্যান্য আসামিরা ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে ডালিয়াকে নির্যাতন করত। নির্যাতনের কারণে ভুক্তভোগী ডালিয়া আদালতে যৌতুকের মামলা করেন। পরে আপস করে মামলাটি প্রত্যাহার করে সংসার শুরু করেন। আসামিরা পুনরায় ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুক না দেওয়ায় ২০০২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সকালে আসামি টিটু, ডালিয়ার শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। টিটুর ভাই শাহ আলম, বোন জীবনী, ভাই মোস্তফা, মা আমেনা বেগম টিপুকে সহযোগিতা করেন। ভুক্তভোগীর সমস্ত শরীরে আগুন লাগিয়ে দিলে তিনি মারাত্মকভাবে জখম হয়ে জ্ঞান হারান। আশে-পাশের ভাড়াটিয়ারা চিৎকার শুনে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০০২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ডালিয়া বেগম মারা যান। মামলার বিচার চলাকালে ১২ জন সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য প্রদান করেন।