বাসস
  ০৯ আগস্ট ২০২৫, ২০:৪৬
আপডেট : ০৯ আগস্ট ২০২৫, ২০:৫১

ইসির লালকার্ড দেখানোর সাহস থাকতে হবে: মজিবুর রহমান মঞ্জু

ঢাকা, ৯ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) :  এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া যে দল বা প্রার্থী ফাউল করবে, নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) তাকেই লালকার্ড দেখানোর সক্ষমতা ও সাহস থাকতে হবে। যদি তা না হয়, নির্বাচন সুষ্ঠু করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। 

আজ শনিবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত সংসদীয় বিতর্ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমদ চৌধুরী কিরণ স্পিকার হিসেবে বিতর্ক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। 

‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের চাইতে প্রার্থী ও ভোটারদের ভূমিকাই প্রধান’ শীর্ষক ছায়া সংসদ বিতর্কে অংশ নেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা কমার্স কলেজের বিতার্কিকরা। 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ তৈরির ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রস্তাবে নোট অব ডিসেন্ট দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘একটি দল অনায়াসে ক্ষমতায় চলে আসবে, নির্বাচনের আগেই এ ধারণা সৃষ্টি হওয়াটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিপজ্জনক। এ ধারণা সংশ্লিষ্ট দলের জন্য যেমনি ক্ষতিকর, তেমনি অন্য অংশগ্রহণকারীদের মধ্যেও শঙ্কা তৈরি করবে।’ 

এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাই গণহত্যা-লুটপাটের সঙ্গে যুক্ত ও গণধিকৃত। তারা নির্বাচনে এলে গণরোষের মুখোমুখি হতে হবে, এতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না। কাজেই তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ সম্ভব নয়।’
 
আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা। নির্বাচনে অনিয়ম হলে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে না পারলে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ হবে।’
 
এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে নির্বাচনের টোটাল সিস্টেমই করাপ্ট করা হয়েছে। প্রচলিত আসন কেন্দ্রিক ভোট পদ্ধতি দুর্নীতির কারণে ফেল করেছে। আবার পিআর পদ্ধতি সমর্থনযোগ্য হলেও তাতে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এবারের নির্বাচনে মিশ্র পদ্ধতি বেছে নেয়া যায়। আগামীতে সরকারি দল ও বিরোধী দল মিলে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে- এটি ঐকমত্য কমিশনের একটি বড় অর্জন। এতে নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী হবে এবং তাদের সক্ষমতা বাড়বে।’

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের চেয়ে প্রার্থীসহ ভোটারদের ভূমিকাই প্রধান’ শীর্ষক ছায়া সংসদে ঢাকা কমার্স কলেজের বিতার্কিকদের পরাজিত করে ঢাকা কালেজের বিতার্কিকরা বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
 
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন, অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, সাংবাদিক মাঈনুল আলম, কাজী জেবেল, সাইদুর রহমান ও শিরিনা খাতুন বীথি। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।