বাসস
  ১৪ জুলাই ২০২৫, ১৮:৫৫

লালন শিল্পী ফরিদা পারভীনের স্বাস্থ্যের উন্নতি, কেবিনে স্থানান্তর

ঢাকা, ১৪ জুলাই, ২০২৫ (বাসস): দেশের প্রথিতযশা লালন গীতি শিল্পী ফরিদা পারভীনের স্বাস্থ্যের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। শিল্পীকে আজ সোমবার হাসপাতালের আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে আজ বিষয়টি লিখে নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে ইমাম জাফর নোমানী। 

ইমাম জাফর লিখেছেন, ‘আম্মাকে (ফরিদা পারভীন) এইমাত্র আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। ডাক্তার বলেছেন ভিজিটর নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অবস্থা আবারো আগের মতই হয়ে যাবে। সবাইকে আবারো অনুরোধ করছি হাসপাতালে ভিড় না করতে।’

উপমহাদেশে লালনগীতির জীবন্ত কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীনের অসুস্থতার খবরে দেশের সঙ্গীত প্রিয় মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। সবাই শিল্পীর আরোগ্য কামনা করেন। 

শিল্পী ফরিদা পারভীনের অসুস্থতার খবর শুনে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া মুষড়ে পড়েন। তিনি শিল্পীর স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নিয়ে তাকে (বেগম খালেদা জিয়া) জানানোর জন্য গত বৃহস্পতিবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এমরান সালেহ প্রিন্সকে নির্দেশ দেন। প্রিন্স বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশ পেয়ে ওই রাতেই হাসপাতালে যান এবং আইসিইউতে গিয়ে ফরিদা পারভীনের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন। তিনি শিল্পী ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে বেগম খালেদা জিয়ার উদ্বেগের কথা জানান। এর আগে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত ৯ জুলাই হাসপাতালে গিয়ে শিল্পীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন।

সত্তর বছর বয়সী দেশের জনপ্রিয় লালন শিল্পী ফরিদা পারভীন কিডনি, ডায়াবেটিস রোগসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ৫ই জুলাই থেকে মহাখালীর ইউনির্ভাসেল মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের (আয়শা মেমোরিয়াল হসপিটাল) আইসিইউতে ভর্তি আছেন। শুরুতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পর তাকে সাধারণ কেবিনেও দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা আবারও খারাপের দিকে গেলে তাকে ফের আইসিইউতে নেওয়া হয়। চিকিৎকদের বোর্ড গঠন করে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুল সংগীত গাইতে শুরু করেন ফরিদা পারভীন। ১৯৭৩ সালে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে ফরিদা পারভীন লালন সংগীতে তালিম নেন। সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ফরিদা পারভীন ১৯৮৭ সালে একুশে পদক পান। শিশুদের লালন সংগীত শিক্ষার জন্য ‘অচিন পাখি স্কুল’ নামে একটি গানের স্কুল গড়ে তুলেছেন তিনি।