বাসস
  ২১ জুন ২০২৫, ২১:২০
আপডেট : ২১ জুন ২০২৫, ২১:৩০

চতুর্থ বর্ষে বিএনপি মিডিয়া সেল 

দিদারুল আলম

ঢাকা, ২১ জুন, ২০২৫ (বাসস) : সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড প্রচার, সাংবাদিকদের কাছে তথ্য সহজে পৌঁছে দেওয়া এবং দলের নীতি, আদর্শ, দর্শন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা দেশবাসীর সামনে কার্যকরভাবে উপস্থাপন করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ২০২২ সালের ২০ জুন গঠন করে ‘বিএনপি মিডিয়া সেল’।

গতকাল তিন বছর পূর্ণ করে আজ থেকে এই সেল চতুর্থ বর্ষে প্রবেশ করলো।

দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী দিনের বাংলাদেশকে একটি উন্নত, আধুনিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে দায়িত্বশীলতা ও সতর্কতার সঙ্গে  কাজ করে যাচ্ছে বিএনপি মিডিয়া সেল। অতীতের অভিজ্ঞতা ও অর্জনের ভিত্তিতে ভবিষ্যতের পথচলা আরও সুসংহত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও দলের মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‘জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণে প্রতিটি সেক্টরের মতোই মিডিয়া সেলেরও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। দেশনায়ক তারেক রহমান যখন দেশে আসবেন তখন আমাদের কাজগুলো আরও গতিশীল ও প্রেরণামূলক হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গণমানুষের চেতনা ও জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে মিডিয়া সেল অতীতেও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছে, ভবিষ্যতেও তেমনি উদ্যমে দেশের সেবায় কাজ করে যাবে।’

বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য এবং চব্বিশের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বাসসকে বলেন, সংগ্রাম, সাফল্য ও অগ্রযাত্রার প্রেরণায় তৃতীয় বর্ষপূর্তি একটি মাইলফলক। মাঠের আন্দোলনের পাশাপাশি জনমত গঠন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বার্তা পৌঁছে দেওয়া এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দমন-পীড়নের চিত্র জনসমক্ষে উপস্থাপন ছিল মিডিয়া সেলের অন্যতম দায়িত্ব, যা সফলভাবে পালন করেছে।

দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, পেশাজীবী সংগঠন এবং বিএনপি সমর্থিত বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের তথ্য ও কার্যক্রম প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে বিএনপি মিডিয়া সেল। বর্তমানে তাদের ভেরিফায়েড পেজের ফলোয়ার সংখ্যা তিন মিলিয়ন অতিক্রম করেছে।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানকালে সঠিক তথ্য, ঘটনাবলী এবং ফ্যাসিবাদী দমন-পীড়নের চিত্র জনসমক্ষে উপস্থাপন ছিল মিডিয়া সেলের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। জনমত গঠনে তাদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ ও সুদূরপ্রসারী।

বিএনপি মিডিয়া সেল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচি, বেগম খালেদা জিয়ার ‘ভিশন ২০৩০’ এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা রাষ্ট্রগঠনমূলক কর্মসূচিকে তরুণ প্রজন্মসহ সকল স্তরের জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ‘সবার আগে বাংলাদেশ’-এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে তারা তথ্যপ্রবাহের প্রতিটি ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছে।

এছাড়া, মানবিক প্রতিবেদন প্রকাশ ও প্রচার, মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরা এবং সকল গুজব ও বিভ্রান্তি দূরীকরণেও কাজ করছে বিএনপি মিডিয়া সেল। পাশাপাশি, বিএনপি ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে চলমান অপপ্রচারের যৌক্তিক খণ্ডনেও কার্যকর ভূমিকা পালন করছে তারা।

২০২৪ সালের আন্দোলনের সময়কাল বিশেষত জুলাই মাসজুড়ে বিএনপি মিডিয়া সেল কৌশলগত ও নেতৃত্বদানকারী ভূমিকায় অবতীর্ণ ছিল। মাঠের আন্দোলনের পাশাপাশি আন্দোলনের সংবাদ, ছবি ও ভিডিও দ্রুত ও নির্ভুলভাবে সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে আন্দোলনকে জোরদার করতে ভূমিকা রেখেছে এই সেল।

দমন-পীড়নের মধ্যেও ২৪ ঘণ্টা অতন্দ্র থেকে এই মিডিয়া সেল বস্তুনিষ্ঠ ও নির্ভরযোগ্য তথ্য পরিবেশনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকেছে। নিয়ন্ত্রিত প্রচার মাধ্যমের বিরুদ্ধে থেকে সাহসিকতা, পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বিএনপি মিডিয়া সেল।

বিএনপি মিডিয়া সেলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল ও সদস্য সচিব শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। মিডিয়া সেলের সদস্য শাম্মী আখতার, মোর্শেদ হাসান খান, রুমিন ফারহানা, কাদের গনি চৌধুরী, মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, আলী মাহমুদ, আতিকুর রহমান রুমন, শায়রুল কবির খান, ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী, ব্যারিস্টার আবু সায়েম, ডা. মোস্তফা আজীজ সুমন, মাহমুদা হাবীবা ও এডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল। বিএনপি মিডিয়া সেলের ফেইসবুক পেইজে এ তথ্য গতকাল দেয়া হয়েছে।

গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখার যে সংগ্রামে জাতিকে অবতীর্ণ হতে হবে, সেই লড়াইয়ে জনমত গঠনে বিএনপি মিডিয়া সেল সময়োপযোগী ভূমিকা রাখতে বদ্ধপরিকর।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তথ্যযুদ্ধের এই ফ্রন্টলাইন ইউনিটকে আরও শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে ‘বিএনপি মিডিয়া সেল’।