ঢাকা, ১৯ জুন, ২০২৫ (বাসস) : প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ‘বাতিল’ কারিকুলামের উপর প্রশিক্ষণের আয়োজন করে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় সাধনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে আজ এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

অভিযানকালে টিম প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক সহকারী শিক্ষকদের নিয়ে চলমান তিন দিনের ট্রেনিংয়ের বিস্তারিত তথ্যাদি, ট্রেনিং মডিউল, ট্রেনিংয়ে সরবরাহকৃত  উপকরণ ও উপকরণ  ক্রয় সংক্রান্ত সকল তথ্যাদি পর্যালোচনা করে। টিম জানতে পারে, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর বর্তমানে ওই ট্রেনিংয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। 

এদিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলাধীন আকচা ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের ঠাকুরগাঁও সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে আজ একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে বিভিন্ন প্রকল্পের নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের কাবিটা সাধারণ বরাদ্দ দিয়ে ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ে পরিষদের ভেতরে ২১ মিটার দীর্ঘ আরসিসি রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প সম্পন্ন করা হয়। 

পরবর্তীতে, পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান একই অর্থবছরে এলজিএসপি থোক বরাদ্দ দিয়ে একই রাস্তা নির্মাণ দেখিয়ে (আকচা ইউপি থেকে নুর মোহাম্মদ প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত আরসিসি রাস্তা নির্মাণ, যা মূলত পরিষদের ভেতরের রাস্তাটিই) ৫ লাখ টাকার অধিক উত্তোলন করেন বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য-প্রমাণ পায় দুদক টিম। অন্যদিকে, ২০২২-২৩ অর্থবছরেই ইএসডিও কর্তৃক নির্মাণকৃত একটি লাইব্রেরি সরকারি খাতে দেখিয়ে প্রায় ২ লাখ টাকা আত্মসাতের একটি দুর্নীতির বিষয় প্রাথমিকভাবে পরিলক্ষিত হয়। অন্যদিকে, পরিষদ সংলগ্ন প্রায় ৪০ টি দোকান ভাড়া বাবদ এককালীন প্রায় ২০ লাখ টাকা (প্রতিটি ৫০ হাজার) আদায় করা হলেও তার কোন নথি পরিষদে নেই মর্মে ইউপি সচিব দুদক টিমকে অবহিত করেন। এছাড়া, দোকান থেকে দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ আদায়কৃত ভাড়ার কোন তহবিল পরিষদে নেই মর্মে প্যানেল চেয়ারম্যান টিমকে জানান। সার্বিক বিশ্লেষণে উল্লিখিত ইউনিয়ন পরিষদে ব্যাপক অর্থ আত্মসাৎ হয়েছে মর্মে দুদক টিমের নিকট প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। 

এ ছাড়া ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) আওতাধীন নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নের শিমুলতলা থেকে মাদারঘোনা পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার রাস্তার সিলকোট-এর কাজে অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এনফোর্সমেন্টকালীন সরেজমিন পরিদর্শনকালে নিয়োগকৃত প্রকৌশলীগণের উপস্থিতিতে ওই ৪ কিলোমিটার রাস্তার সিলকোট এর কাজের সঠিকতা যাচাই করে পরিমাপ গ্রহণ করা হয়। এরপর অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র/তথ্যাদি সংগ্রহ করা হয়। নিরপেক্ষ প্রকৌশলীদের মূল্যায়ন/পরিমাপ প্রতিবেদন এবং সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা সাপেক্ষে এনফোর্সমেন্ট টিম কর্তৃক কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।