শিরোনাম
ঢাকা, ১৯ জুন, ২০২৫ (বাসস) : ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) এর প্রেসিডেন্ট মারিয়া হাওলাদার আজ বলেছেন, দেশে আর্থিক বিবরণী নিরীক্ষার সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে কাজ করছেন তারা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সদস্যরা স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং দেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে আসছেন।’
আইসিএবি আয়োজিত আজ এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা তুলে ধরেন সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট মারিয়া হাওলাদার।
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন-উত্তর পর্ব সঞ্চালনা করেন সাফা ভাইস প্রেসিডেন্ট, আইসিএবি কাউন্সিল মেম্বার ও ট্যাক্সেশন এন্ড কর্পোরেট ল’জ কমিটি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবীর।
এতে বক্তব্য রাখেন আইসিএবির বর্তমান কাউন্সিল মেম্বার ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. শাহাদাৎ হোসেন, মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দীণ, মো. মনিরুজ্জামান ও আইসিএবির ইলেক্ট কাউন্সিল মেম্বার সাব্বীর আহমেদ, মো. মেহেদী হাসান, মো. মাহবুবুর রহমান।
সম্মেলনে সূচনা বক্তব্য রাখেন আইসিএবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশীষ বসু ।
মারিয়া হাওলাদার বলেন, অডিট পেশার গুণগতমান বজায় রাখা ও জাতীয় স্বার্থে সকল স্টেকহোল্ডারদের জন্য সহযোগিতামূলক পেশাগত পরিবেশ গড়ে তুলতে আইসিএবি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের সামগ্রিক প্রচেষ্টার মূলে আছে একাউন্ট্যান্সি পেশা তথা দেশের উন্নয়ন। আমাদের সম্মিলিত প্রয়াসই পারে এই কঠিন মুহূর্তে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে।’
আইসিএবি নিজস্ব কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) বাজেট সম্পর্কিত প্রস্তাব পেশ, ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) বিধি-প্রবিধি প্রণয়নে মতামত প্রদানসহ সরকারকে নানাভাবে নীতি সহায়তা প্রদান করে আসছে। এছাড়া সরকারকে শিল্প নীতি, আমদানি-রপ্তানি নীতি, বৈদেশিক বিনিয়োগ নীতিসহ গুরুত্বপূর্ণ আইন এবং বিধি-বিধান প্রণয়নেও আইসিএবি সহায়তা দিয়ে আসছে।
মারিয়া হাওলাদার তার বক্তব্যে আরও বলেন, আইসিএবি আত্মনির্ভর নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে প্রতিনিয়ত নিরীক্ষা পেশার মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আইসিএবি ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ডিভিএস) নামে একটি পদ্ধতি চালু করেছে। নিরীক্ষক না হয়েও নিরীক্ষা প্রতিবেদন ইস্যু করা বা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে স্বাক্ষর রোধসহ একাধিক নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন যাতে তৈরি না হয় সেজন্য আইসিএবি’র তত্ত্বাবধানে এই পদ্ধতি প্রবর্তিত হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে কর ফাঁকি রোধ এবং রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডিভিএস ব্যবহারের নিমিত্তে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাথে আইসিএবি’র সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। নিরীক্ষা প্রতিবেদনের সত্যতা নির্ণয়ে এই পদ্ধতির গুরুত্ব অনুধাবন করে পরবর্তীতে বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান তা গ্রহণ করেছে। ডিভিএস’র মাধ্যমে একই কোম্পানির র দ্বৈত আর্থিক প্রতিবেদন রোধ করা সম্ভব হয়েছে। যা রাজস্ব ফাঁকি রোধের মাধ্যমে সরকারের আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।