বাসস
  ২৪ মে ২০২৫, ২০:৫৩
আপডেট : ২৪ মে ২০২৫, ২১:৪৯

মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা প্রকল্পে সুফল পাবে ৯৩ লাখ শিক্ষার্থী

ছবি : বাসস

ঢাকা, ২৪ মে, ২০২৫ (বাসস) : অন্তবর্তীকালীন সরকার আজ শনিবার ‘নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৮ম পর্যায়)’ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। 

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ৬ বছরের কম বয়সী প্রায় ৯৩ লাখ শিশু শিক্ষার্থী এতে সুফল পাবে। প্রকল্পের মাধ্যমে তাদেরকে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া হবে। ১ জানুয়ারী ২০২৫ থেকে ৩০ জুন ২০৩০ পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের ৪৪ হাজার ২০০টিরও বেশি মসজিদ /মক্তবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।  

শনিবার রাজধানীর আগারগাঁও শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি’র (একনেক) চেয়ারপারসন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে চলতি অর্থবছরের একাদশ একনেক সভায় এই প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নেয়া এই প্রকল্প বিশ্লেষণ করে দেখে গেছে, প্রকল্পটিতে শিশু শিক্ষার্থী ছাড়াও ৭৬৮টি বয়স্ক কুরআন শিক্ষা কেন্দ্রে ১ লাখ ১৫ হাজার ২০০ জন বয়স্ক শিক্ষার্থীকে পাঠদান করা হবে। এছাড়া সমাজের অনগ্রসর ও প্রান্তিক অঞ্চলে ২৮ হাজার ৮০০টি প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র চালু করণ এবং ৫১ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষার্থীকে পাঠদান ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির  মাধ্যমে ৭৬ হাজার ৭৩০ জন ইমান ও মুয়াজ্জিনের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। 

প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বিষয়ে প্রকল্পটিতে বলা হয়েছে, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও ধর্মীয় শিক্ষা বিস্তারে মসজিদ ভিত্তিক কুরআন শিক্ষার পরিধি বৃদ্ধি করা। প্রাথমিক শিক্ষা ও সাক্ষরতা বৃদ্ধি এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে উজ্জীবিত নাগরিক গঠনে সহায়তা করা। শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা এবং নারীদের ধর্মীয় ও জীবনমুখী শিক্ষা প্রদান করা। সমাজে নারী ও শিশুদের মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করে জীবন গঠনে সহায়তা করা হবে। 

এ বিষয় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সিনিয়র জেলা জজ আব্দুস সালাম বাসসকে বলেন, এটি একটি গণমুখী শিক্ষা কার্যক্রম। এই প্রকল্প সরকার অনুমোদন দেয়ার ফলে সারাদেশে এবং শহরগুলোতেও বস্তিুর ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা স্কুলমুখী হতে সহায়তা পাবে। তাদেরকে বস্তির মধ্যেই একটি স্কুল করে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া হবে। বয়স্কদেরকেও অক্ষরজ্ঞান দেওয়া হবে। সমাজের পিছিয়ে পড়াদেরকেও এর আওতায় আনা হয়েছে।