বাসস
  ২৪ মে ২০২৫, ১৯:৫৫

সঙ্কট সমাধানের একমাত্র পথ হলো গণতান্ত্রিক উত্তরণ: ড. মঈন খান

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ আয়োজিত ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ড. মঈন খান কথা বলেন। ছবি: বাসস

ঢাকা, ২৪ মে, ২০২৫ (বাসস): বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘আজকে যে সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে তার সমাধান একটিই, আর তা হলো- গণতান্ত্রিক উত্তরণ।’ 

তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে শুধু সরকার বা রাজনৈতিক দল নয়, দেশের গণমানুষকেও সচেতন থাকতে হবে। ২৪ সালের জুলাইয়ের ঘটনা এবং ৫ আগস্টে দেশে যে পরিবর্তন এসেছিল, তার ৯ মাস পর দেশ এমন পরিস্থিতিতে এসে কীভাবে দাঁড়ালো? দেশের ১৮ কোটি মানুষের সামনে একটি মাত্র সমাধান-গণতন্ত্রের উত্তরণ। এছাড়া দ্বিতীয় কোনো বিকল্প নেই।’

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ আয়োজিত ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ড. মঈন খান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বিগত ১৫ বছরে নির্বাচন সঠিক হয়নি। তাই দেশ সঠিক পথে যেতে পারেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগে বিচার বিভাগকে কুক্ষিগত করে রাখা হতো। এখনো যদি তাই হয়, তাহলে পরিবর্তন কোথায়?’

গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও নির্বাচনের বিষয় মাথায় রেখে সব সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সবাই সবকিছুতে একমত না হওয়ারই কথা। ডাইভার্সিটি ভুলে গিয়ে ইউনিটি করতে গেলেই স্বৈরাচারের জন্ম হয়। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা না থাকলে গণতন্ত্র আছে বলা যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সঠিকভাবে অনুশীলন করা হলে দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে ৫ বছর পর জনগণের সামনে পরীক্ষা দিতে হবে। রাজনীতিবিদদের পরীক্ষা হলো নির্বাচন। সে নির্বাচনে যদি কারচুপি হয়, তাহলে তা পরীক্ষা হিসেবে গণ্য হতে পারে না। আমি বলতে চাই, বিগত ১৫ বছর দেশে কোনো নির্বাচনই হয়নি। দোষটা নির্বাচনের নয়, দোষটা তাদের যারা নির্বাচনের আয়োজন করেছিলেন।’

‘বিশ্বের কোনো সংবিধানে কিন্তু খারাপ কথা লেখা থাকে না উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, দেশে ৭২ সালের পর ৭৫ সালে একটা সংবিধান এসেছিল। সে সময় সংবিধানে একটি সেকশন যুক্ত করা হয়েছিল, যার ফলাফল ছিল বাকশাল। পরে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সেসব ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।’

সভায় গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, সংগঠনের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মাসুম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।