বাসস
  ১০ মে ২০২৫, ১৭:০৬

‘জাতীয় নারী স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠার সুপারিশ স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের

স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশন গত সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। ফাইল ছবি

ঢাকা, ১০ মে, ২০২৫ (বাসস) : নারীর সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতা নিশ্চিত করতে ‘জাতীয় নারী স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠা করার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন।

স্বাস্থ্য সবার অধিকার উল্লেখ করে স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশন গত সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

নারী স্বাস্থ্য বিষয়ে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘নারীর সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতা নিশ্চিত করতে ‘জাতীয় নারীস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট' প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই প্রতিষ্ঠান বিশেষায়িত সেবা প্রদান, সেকেন্ডারি ও টারশিয়ারি হাসপাতালের জন্য রেফারেল কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে এবং তাকে স্বাস্থ্য কর্মীদের নারী স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়নের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’

সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘এটি নারীর স্বাস্থ্যসংক্রান্ত উপেক্ষিত ও জটিল সমস্যার সমাধানে নেতৃত্ব দেবে এবং নারীস্বাস্থ্যকে জাতীয় অগ্রাধিকারের পর্যায়ে উন্নীত করবে। মা, শিশু, কৈশোরকালীন ও বিশেষ প্রয়োজনে থাকা ব্যক্তিদের জন্য উপযোগী ও সম্মানভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে।’

সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘নারীস্বাস্থ্যে সরকারি ও ব্যক্তিগত অলাভজনক প্রতিষ্ঠান বা ইনস্টিটিউট গুলোকে উৎসাহিত করতে হবে এবং সরকারি সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করতে হবে। একই সাথে শিশু, কিশোর-কিশোরী ও বৃদ্ধদের মানসিক সুস্থতা, রোগ, মানসিক ও শারীরিক গড়ন, বুদ্ধিবৃত্তি, চিন্তা-চেতনা, সামাজিকতা ইত্যাদি বিষয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থা সৃষ্টিকে প্রাধান্য দিতে হবে।’

স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের শুরুতেই  উল্লেখ করা হয়েছে, ‘একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই-আগস্ট ২০২৪- এ শহীদ বীরদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিবেদিত এ সংস্কার প্রতিবেদন।

একটি বৈষম্যহীন ন্যায্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় তাদের স্বপ্নের সহায়ক হোক এই স্বাস্থ্যখাত সংস্কার প্রস্তাবনা।’

প্রস্তাবনার মুখবন্ধে বলা হয়েছে, স্বাধীনতার পরবর্তী দশকগুলিতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা খাতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সত্ত্বেও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে রয়েছে।

স্বাস্থ্যসেবাকে জনমুখী, সহজলভ্য ও সর্বজনীন করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাবের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে ‘স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন’ নামে কমিশন গঠন করে গত ১৮ নভেম্বর গেজেট প্রকাশ করা হয়। জাতীয় অধ্যাপক ও ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি ডা. এ কে আজাদ খানকে কমিশনের প্রধান করা হয়। স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন  বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তি, সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী, বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ ও সহযোগিতা গ্রহণ করেছেন।

কমিশন সুপারিশ প্রণয়নে যে বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখেছে তা হলো-সুপারিশ বাস্তবায়নের প্রস্তাবিত মেয়াদ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদে করণীয়,পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের মেয়াদে করণীয় জাতীয় প্রত্যাশা ও অঙ্গীকার।