শিরোনাম
ঢাকা, ৯ মে, ২০২৫ (বাসস) : সর্বদলীয় কনভেনশন আহ্বান করে মানবতাবিরোধী দল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।
আজ বিকেলে রাজধানীর বিজয় নগরস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আহুত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, গুম, খুন, গণহত্যা ও সীমাহীন লুটপাটসহ সকল ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ। তারা নির্বাচন ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। সংবিধান, বিচার বিভাগ, শাসন বিভাগ ধ্বংস করে জনগণের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, আইনগত ও সাংবিধানিকভাবে এই সন্ত্রাসবাদী দলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নিতে হবে।
সর্বদলীয় কনভেনশন আহ্বান করে মানবতাবিরোধী দল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়ে তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্র হত্যাকারী দল নিয়ে আমরা প্রথম থেকেই একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছি। বাংলাদেশের মানুষ ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগকে সামাজিকভাবে বয়কট করেছে। সারাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ঘেরাও করে প্রতিহত করেছে।
সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগের বিষয়ে খুবই সচেতন। বরং আমরা রাজনৈতিক নেতারা চেষ্টা করেছি যাতে মব সৃষ্টি না হয়। কিন্তু প্রতিবার আওয়ামী লীগ উসকানি দিয়েছে যা অনবরত করেই যাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে পরিবেশ বারবার ঘোলাটে হচ্ছে, এর দায় পতিত স্বৈরাচারের।
তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আইনি পদক্ষেপও নিতে হবে। আইনগত ভাবে পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক দলকেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রত্যেক জায়গায় যে-সব রাজনৈতিক দল গণহত্যায় জড়িত ছিল তাদেরকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো। বাংলাদেশে কোনো বিবেচনায় আওয়ামী লীগের মতো একটি সন্ত্রাসী দল রাজনৈতিক দল হতে পারে না।
বিমানবন্দরে সাবেক রাষ্ট্রপতির ইমিগ্রেশন পারের ঘটনা উল্লেখ করে এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আব্দুল হামিদ জুলাই গণহত্যা নিয়ে কোন কথা বলেননি, তাই উনি ফ্যাসিস্টের একজন ধারক-বাহক। উনাকে গুম খুন, আয়নাঘর নিয়ে প্রতিবাদ না করে ফাঁসির আসামিকে মাফ করতে দেখেছি।
সঠিক তদন্ত ও ভিডিও ক্লিপ দেখে কারা আব্দুল হামিদকে দেশত্যাগে সাহায্য করেছে তা বের করতে হবে। সকল নাগরিককে পুঙ্খানুপুঙ্খ সার্চ করে ইমিগ্রেশন পার হতে হয়। তাহলে আব্দুল হামিদের বেলায় কেন শৈথিল্য দেখানো হলো? এ বিষয়ে ৩ দিনের মধ্যে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল অব. দিদারুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি, ব্যারিস্টার সানি আব্দুল হক, আলতাফ হোসাইন, শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শাহ আব্দুর রহমান প্রমুখ।